বাপ্পা-চাঁদনীর পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসে গরম ফেসবুক
প্রকাশিত : ১৪:২৪, ২৬ মে ২০১৮
অভিনেত্রী চাঁদনী ও সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের প্রেম এবং পরিণয়ের গল্পটা সবারই জানা। ২০০৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন দুই অঙ্গনের দুই তারকা। এরপর কেটে যায় আট বছর। সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু গত বছর দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। এরপর বিচ্ছেদ। সেই গল্পের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু ২১ মে। আরেক অভিনেত্রী তানিয়া হোসেনকে বিয়ে করছেন বাপ্পা।
খবরটি প্রকাশের পরদিন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে চাঁদনী লেখেন, ‘সব অপরাধের ক্ষমা আছে, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার কোনো ক্ষমা নেই।’
পাশাপাশি আরেকটি ছবিও পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী। এনিমেটেড ছবিটিতে দেখা যায়, অন্তরঙ্গ ভঙ্গিতে দুটি ছেলে-মেয়ে একটি নৌকায় আর পানিতে হাবুডুবু খাওয়া আরেকটি মেয়ে বাঁচার জন্য ছেলেটির হাত ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু ছেলেটির সেদিকে খেয়াল নেই।
একটা ক্যাপশনও ছিল ছবিতে, ‘নির্মম মিথ্যার আড়ালে সত্যগুলো বন্দি আজ।’
কিন্তু ওই সময় সেই স্ট্যাটসের অর্থ বোঝা যায়নি। অবশেষে তা পরিষ্কার হয় ২৩ মে।
এদিন বাপ্পা ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনাদের জানাতে পেরে আমি খুশি যে আমার সঙ্গে তানিয়ার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। দুই পরিবারের সিদ্ধান্তেই আমরা বিয়ে করতে যাচ্ছি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আপনাদের এত দিন জানাতে পারিনি। আশা করছি, আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন পাব।’
পরদিনই চাঁদনী আরেকটি স্ট্যাটাস দেন, ‘হায়রে দুনিয়া! কই যে যাই। আমি আর আমার পরিবার ভালো আছি। আর কোনো কিছু চাই না। চাইনি, চাইব না। শক্তরে অনেক! আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। সবার বাসনা কামনার শুভ কামনা রইল। আমাকে যারা ভালোবাসে তাদের পক্ষ থেকেও। আর কিছু...?’
এর কিছু সময় যেতেই বাপ্পার পাল্টা দীর্ঘ স্ট্যাটাস, ‘মানুষ এর জীবনে এমন অনেক কিছু হয় যা হওয়ার কথা থাকে না। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জীবনের অংশ মনে করে জীবনের সাথেই রেখে দেয়া ভালো। আমাকে আমার সকল ভক্তরা আমার কাজ দিয়ে চেনেন, আমি আমার কাজ নিয়েই থাকতে চাই, বাঁচতে চাই সবার মাঝে। কি হবে ব্যক্তিজীবনের গল্প জনে জনে বলে? অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি কখনোই আগ্রহী না যেমন ঠিক তেমন আমার ব্যক্তিগত জীবন ও কারো সাথে খুব একটা শেয়ার করা আমার বৈশিষ্ট না। তবে সময়ের কারণে আজ আপনাদের জানাতে হচ্ছে ….
জীবন তার নিজের গতিতে চলে। সময় কারো নিজের ইচ্ছায় চলে না। সময় খুব খেয়ালি। জীবন সময় কখন কাকে কোথায় নিয়ে ফেলে বোঝা মুশকিল। অনেক বছর একসাথে থেকে, থাকার চেষ্টা করে অবশেষে হার মানতে হয়েছে আমার আর চাঁদনীর। আমরা পারিনি আমাদের সংসার নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে। কোনো অভিযোগ কিংবা অসম্মান আমার চাঁদনীর প্রতি নেই এমনকি চাঁদনীর ও আমার প্রতি কোনো অসম্মানবোধ আছে বলে মনে করিনা। যা হয়েছে তা ভাগ্যের লিখন মনে করি। গত ৯ অক্টোবর ২০১৭ আমাদের ডিভোর্সের আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয় আর শেষ হয় ৯ জানুয়ারি ২০১৮ তে বিবাহের সমাপ্তিতে। আর আমরা আলাদা ছিলাম তাও ১ বছরের একটু বেশি সময় ধরে।
তানিয়া আমার বন্ধু। দারুণ একজন বন্ধু। তানিয়ার সাথে আমার যোগাযোগ এবং ভালোলাগাও। এর সূত্র ধরেই অতিসম্প্রতি আমি আমার ভাবনা তানিয়া কে জানাই, তানিয়াও তার ভাবনা আমাকে জানায়। আমরা আমাদের পরিবারের সানিধ্য ছাড়া জীবনে চলতে চাই না। তাই ২ পরিবারের সিদ্ধান্তে একান্তই পারিবারিক ভাবে আমাদের বাগদান হয়। আগেই বলেছি ব্যক্তিগত বিষয়গুলো আমি বরাবরই নিজের ভেতর রাখতে চাই। যেখানে পরিবার ইনভল্ভড সেখানে আর অপরিষ্কার কোনো চিত্র নেই। বাকিটা পরিবেশ আর পরিস্থিতি ।আপনারা প্রার্থনা করবেন।
আমার জীবনের সমস্ত ভালো মন্দ অধ্যায়ে আপনারা সাথে ছিলেন, বাকি জীবনেও থাকবেন সেই কামনা করি ।
ভালো থাকবেন!’
এই স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে আবারও চাঁদনী লেখেন, ‘আমরা আজ সবাই এই সব অভিনন্দন, শুভ কামনার কাছে বিক্রি হয়েছি। হয়তো এখন বিনোদন এতেই। এটাই হয়তো চল। আসুন, আমরা এগুলো বাদ দেই। অনুভূতিগুলোকে যদি সঠিক ও ন্যায় মূল্য না দিতে পারি তাহলে আমরা আসল বিনোদনকেই বিক্রি করি।’
এসএ/