বামপন্থী ৮ দলের নতুন জোট, সমন্বয়ক সাইফুল হক
প্রকাশিত : ১৬:১৪, ১৮ জুলাই ২০১৮
বামপন্থী আটটি দল মিলে ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। জোট গঠনের পর তিনটি কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জোটের সমন্বয়ক করা হয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হককে।
সাইফুল হক বলেন, ‘জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে থেকে তিন মাস পর পর একজন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। জোটের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যরা হচ্ছেন- সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা আকবর খান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী ও ফখরুদ্দিন কবির আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়নকারী জোনায়েদ সাকি, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশররফ হোসেন নান্নু ও কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও কেন্দ্রীয় নেতা মমিন উর রহমান বিশাল, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন আহ্বায়ক হামিদুল হক ও কেন্দ্রীয় নেতা রণজিত কুমার।
এসময় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচনকে যে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমরা একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। নির্বাচন কমিশনসহ যেসব জায়গায় প্রয়োজন সেখানে আমরা লাগাতার অবরোধসহ শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এসব কর্মসূচি শুধু ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সারাদেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার চাই। সেখানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করতে চাই। নির্বাচনে টাকার খেলা, পেশিশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি থেকে নির্বাচনকে মুক্ত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের অন্তরের আকাঙ্ক্ষাখাটা প্রতিধ্বনিত্ব করাই জোটের লক্ষ্য। সেটাকে ভোটের সংখ্যায় রূপান্তরিত করার জন্যও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। কিন্তু এই জোট ভোট সর্বস্ব জোট না, এটা ইলেকশন এলায়েন্স না। ইলেশকটা আমাদের সামগ্রিক আন্দোলনের একটা অংশ। আন্দোলনের স্বার্থে ভোটে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারি, আবার বয়কটও করতে পারি।
সরকারের সঙ্গে থাকা বাম দলগুলো কী এই জোটে আসতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, প্রকৃত বামপন্থীরা রাজপথে নামলে পরে আমাদের সঙ্গে মিলিতভাবে এই জোটকে আরও সম্প্রসারণ করবো। কিন্তু যারা শাসক শ্রেণির সঙ্গে এই ফ্যাসিস্ট দুঃশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তারা আমাদের এই চিন্তা বা আহ্বানের আওতাভুক্ত না। আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধেও।
নতুন জোটের পক্ষ থেকে তিনটি কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়। ২৪ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল, ৪ আগস্ট মতবিনিময় সভা, আগামী ১০ ও ১১ আগস্ট দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরে জনসভা ও মিছিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
/ এআর /
আরও পড়ুন