ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪

বামপন্থীদের নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২০, ১৮ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১১:৫৬, ১৮ জুলাই ২০১৮

‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ নামে বামপন্থীদের নতুন একটি মোর্চা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করছে আজ বুধবার। এক বছর ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনরত দুটি জোট সিপিবি-বাসদ এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ে নতুন এ ঐক্যজোট গঠিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে ঐক্যবদ্ধ দাবিনামা ও কর্মসূচি তুলে ধরবেন জোট নেতারা।
নতুন এ জোটের অন্তর্ভুক্ত আটটি বামপন্থি দলের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন। এর আগে সিপিবি-বাসদ জোটের ব্যানারে সিপিবি ও বাসদ এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ব্যানারে বাকি ছয়টি দল কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। গত বছরের জুলাই মাস থেকে এই দুই জোট ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছিল। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার আট শরিকের মধ্যে নিষ্ফ্ক্রিয়তার কারণে সম্প্রতি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে বাসদ (মাহবুব) জোট থেকে বাদ পড়েছিল।
বাম নেতারা জানান, বিভিন্ন ইস্যুতে যুগপৎ ও সমন্বিত কর্মসূচি পালনের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ১৫ জুলাই দুই জোটের যৌথ সভায় ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক বছর ধরে তারা পাঁচ দফা দাবিনামা ও কর্মসূচির ভিত্তিতে ‘সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা’ নামে কার্যক্রম চালিয়েছেন।
বাম নেতারা বলছেন, আর্থসামাজিক-রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বিদলীয় ধারার বাইরে বিকল্প গড়ে তুলতেই নতুন এই জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে একসঙ্গে আগামী নির্বাচন মোকাবেলার কথাও বিবেচনায় রেখেছেন তারা। জোট থেকে ৩০০ আসনে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
কয়েকজন নেতা বলছেন, নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ হবে সাম্প্রতিককালে বামপন্থিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সাফল্য। এর আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাম দলগুলোকে নিয়ে ‘বৃহত্তর বাম ঐক্য’ গড়ে তোলার ইস্যুতে কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও তাতে সফলতা আসেনি।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৮-৩১ অক্টোবর সিপিবির একাদশ জাতীয় কংগ্রেসে বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সিপিবির উদ্যোগে বাম দলগুলোর প্রধান দুই জোট সিপিবি-বাসদ এবং গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। যুগপৎ আন্দোলন প্রশ্নে একমত হওয়ায় এ দুটি জোট পরবর্তী সাত-আট মাস গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার ও সুন্দরবন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলসহ জনজীবনের সংকট নিরসনের নানা দাবিতে যুগপৎ হরতাল, অবস্থান, ঘেরাও, রোডমার্চ ও সভা-সমাবেশ-মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি