বার বার গোসলেও গরম কমছে না? কী করবেন?
প্রকাশিত : ১৩:৫৬, ২৮ এপ্রিল ২০২২
গরমকাল পড়তেই দাবদাহ শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই তীব্র গরমে নাজেহাল প্রাণী। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বার-বার গোসল করতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও যেন গরম কিছুতেই কমছে না।
গরমের তীব্রতায় স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অসুখ বিসুখ দেখা দিচ্ছে। ডিহাইড্রেশন, পেটের গোলমাল এবং আরও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে তীব্র গরমে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমকালে বহু মানুষ শরীর ঠাণ্ডা রাখতে একাধিক বার গোসল করেন। কিন্তু বার-বার গোসল করার পরও বহু মানুষ, জানিয়ে থাকেন যে, কিছুতেই গরমও কমছে না এবং শরীরও ঠাণ্ডা হচ্ছে না।
গরমকালে কীভাবে গোসল করলে ত্বক এবং চুল দুটোই সুস্থ থাকবে এবং শরীর ঠাণ্ডা থাকবে, তা জেনে রাখা জরুরি।
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গরমকালেও বহু মানুষের গরম পানিতে গোসলের অভ্যাস থাকে। কিন্তু এই সময়ে গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকে জলীয় ভাগ কমে যায়। তাই গরম পানির পরিবর্তে এই সময় ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করার চেষ্টা করা দরকার।
২. অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমকালে ত্বকে জ্বালাভাব বেশি দেখা দেয়। অত্যধিক ঘাম, তার সঙ্গে ধুলো ময়লা মিশে ত্বকে অক্সিজেন প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয়। এই সময় ত্বকের যত্ন না নিলে স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি হতে পারে। তাই ঘুমনোর আগে গোসল করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সারাদিনের ধুলো, ময়লা, ধোঁয়ায় ত্বকের রোমকূপগুলি বন্ধ হয়ে যায়। ঘুমনোর আগে ঠাণ্ডা পানিতে ভালো করে গোসল করলে ঘুমও ভালো হয় আর ত্বকে ময়লাও জমে থাকে না।
৩. বিশেষজ্ঞদের মতে, গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিলে ত্বক এবং চুল দুইই সুস্থ থাকে। পাশাপাশি স্ট্রেস, চিন্তা এসবও কমে যায়।
৪. বার-বার গোসল করলে ত্বক এবং চুল দুইই অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গরম লাগলেও ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে সারাদিনে একবার সঠিক পদ্ধতি মেনে গোসল করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এবং গোসলের পরে অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
৫. পানিতে থাকা অত্যধিক পরিমাণে আয়রন ত্বক ও চুলের ক্ষতি করে। এই অবস্থায় বার বার গোসল করলে তা আরও বেশি ক্ষতি করে। তাই শাওয়ারের মুখে ফিল্টার ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে পানি পরিষ্কার এবং ক্ষতিকর উপাদান ছাড়া পাওয়া যায়।
৬. গোসলের সময় প্রতিদিন ত্বকের মরা কোষ দূর করা এবং ত্বক পরিষ্কার রাখতে ভুললে চলবে না। ত্বক পরিষ্কার থাকলে, ত্বকের রোমকূপের মুখ খোলা থাকলে, তবেই অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে। আর তবেই ত্বক সুস্থ থাকে।
কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
এসবি/