ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বালিতে অগ্ন্যুৎপাত : আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে বলছে কর্তপক্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৯, ১ অক্টোবর ২০১৭

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ৫৪ বছর পর আবারও ফুঁসে উঠছে আগুং নামের আগ্নেয়গিরি। যে কোনো সময় অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ। আর এ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। কিন্তু বালির গভর্নর হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরতে বলেছে। বর্তমানে আগ্নেয়গিরিটির জ্বালামুখ দিয়ে ধোঁয়া উঠছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বালির গভর্নর বলছেন, যারা বিপদসীমার বাইরের বাসিন্দা, তাদের বাড়ি ফেরা উচিত। কারণ তারা এখন আশ্রয়কেন্দ্রে ‘বোঝা’হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে, যা সংখ্যায় প্রায় ১৩০টি। সর্বশেষ ১৯৬৩ সালে মাউন্ট আগুং এ অগ্নুৎপাতে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল।

কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহেই আগ্নেয়গিরিটির সতর্কতা মাত্রা ‘সর্বোচ্চ’তে উন্নীত করা হয়। তখন থেকেই মাউন্ট আগুংয়ে সাদা ধোঁয়া বের হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে পুরো এলাকা। তবে এখন কর্মকর্তারা বলছেন, আগ্নেয়গিরিটির সতর্কতা মাত্রা ‘সর্বোচ্চ হলেও স্থিতিশীল’।

অগ্নুৎপাতের আশঙ্কায় মাউন্ট এলাকার ১২ কিলোমিটার জুড়ে খালি করা হয়। ওই এলাকার মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। ৭০ হাজার মানুষের জন্য প্রায় ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু যারা ডেঞ্জার জোনের বাইরে তারাও আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছেন।

জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সির মুখপাত্র সুতোপো পুর্ব নুগরা জানিয়েছেন, কেবল ২৭ গ্রামের বাসিন্দাকে ঘর ছাড়তে বলা হয়েছে। বাকিরা ঘরে ফিরতে পারেন। তারা নিজেরা বা সরকারের সহায়তা নিয়েও ঘরে যেতে পারেন।

ইন্দোনেশিয়ার অগ্নুৎপাত প্রশমন কেন্দ্র সার্বক্ষণিক ওই এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে। ওই এলাকা বারবার কেঁপে উঠছে। এখন পর্যন্ত পর্বতের চূড়া থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত ধোয়া রেকর্ড করা হয়েছে।

অগ্নুৎপাতের আশঙ্কা বালির পর্যটন শিল্পেও প্রভাব ফেলেছে। সতর্কতা জারির কারণে সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার অনেক পর্যটক শেষ মুহূর্তে তাদের মত বদলে দ্বীপটিতে না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন খাতে বালি দ্বীপের অবদান অপরিসীম। গত বছর দ্বীপটিতে প্রায় ৫০ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেছিল।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি