বাল্যবিয়ে করেন মোসাদ্দেক
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ২৭ আগস্ট ২০১৮
জাতীয় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠছে। রুবেল, আরাফাত সানি, শাহাদাত হোসেনের পর এবার গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে।
সৈকতের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ৩ ও ৪ ধারায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
মামলার আগে খুব কম মানুষেই জানত যে, সৈকত বিয়ে করেছেন। উঠতি বয়সী এই তরুণের এই সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। অথচ পারিবারিক কলহে নানা অনিশ্চয়তার দিকে এগোচ্ছে তার ভবিষ্যত।
বিসিবির রেকর্ডে মোসাদ্দেকের বয়স ২২ বছর। মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু যৌতুক দাবি কিংবা স্ত্রী নির্যাতনেই সীমাবদ্ধ নয়। কারণ সামিয়া শারমিনের দায়ের করা অভিযোগপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত বিবাহের কাবিননামায় দেখা যায়, তাদের বিয়ে হয়েছে ২৮ অক্টোবর ২০১২ সালে। কিন্তু বিসিবির কাছে মোসাদ্দেকের যেসব তথ্যাদি দেওয়া রয়েছে তা অনুযায়ী ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর তারিখে মোসাদ্দেকের বয়স মাত্র ১৬ বছর।
তাহলে কি মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাল্যবিবাহের অপরাধ করেছিলেন মোসাদ্দেক? আপাতদৃষ্টিতে এই বিয়েকে বাল্যবিবাহই বলা যায়। কারণ ২০১২ সালে মোসাদ্দেক বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এমনকি বিয়ের ঠিক আগে যুব দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরও করেছিলেন তিনি।
পরে দেশে ফিরে এই বিয়ে করতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন মোসাদ্দেক। সামিয়া শারমিনের বড় ভাই (সম্পর্কে মোসাদ্দেকেরও খালাতো ভাই) অভিযোগপত্র জানান যে বাল্যবিবাহের বৈধতা দিতে তখন নিজের বয়স বাড়িয়ে ২২ বছর লিখে দেন মোসাদ্দেক। কিন্তু কাগজপত্র অনুযায়ী ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ২২ বছর পূর্ণ হয়েছে তার।
শুধু বিয়ের কাগজে বয়স লুকিয়েই নয়, মোসাদ্দেক ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে বিসিবির সঙ্গেও। এমনটাই জানান মোজাম্মেল কবির। এতো অল্প বয়সে জাতীয় দলে কোনো বিবাহিত ক্রিকেটার নেওয়া হবে না জানিয়ে মোসাদ্দেক নিজের বিয়ের খবরটি গোপন রেখেছিলেন বলে জানান মামলার প্রধান সাক্ষী ও সামিয়া শারমিনের বড় ভাই মোজাম্মেল কবির।
/ এআর /