‘বাসযোগ্য ঢাকার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই’
প্রকাশিত : ১৯:১০, ৯ মার্চ ২০২৩
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নগরায়ন হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাসযোগ্য ঢাকার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ থেকে শুরু করে জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। যেখানে সেখানে খেয়াল-খুশিমত স্থাপনা তৈরীর সংস্কৃতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে।
নাগরিকদের মননের ইতিবাচক পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী আরো বলেন, আইন ও নিয়ম-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিকরাই উন্নত ও স্মার্ট নগর গড়ার প্রধান কারিগর হিসেবে কাজ করবে।
তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর গুলশানে দুই দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর সিটি স্যানিটেশন ট্রেড ফেয়ার ২০২৩’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
নাগরিকদের সঠিক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার বিষয়ে সচেতন করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেও প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলের সচেতনতা এবং সহযোগিতা থাকলে বাসযোগ্য ঢাকা গড়া সম্ভব হবে। ২০১২ সালে বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে পয়ঃনিস্কাষন ব্যবস্থাকে প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে মহানগরীকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভাগ করা হয়েছিল।
তাজুল বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগ করার প্রবণতা বেড়েছে- যার ফলে দৈনিক প্রচুর বর্জ্য এবং আবর্জনা তৈরি হচ্ছে। ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এই বিশাল বর্জ্যকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা না গেলে বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন কখনো বাস্তবায়ন হবে না।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নগর পরিকল্পনাবিদ, নগর বিশেষজ্ঞ ও নাগরিক সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর প্রধানরা বক্তব্য রাখেন।
সভা পরিচালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
সূত্র: বাসস
এসবি/
আরও পড়ুন