বাড়ি নয় যেন প্রাকৃতিক নৈস্বর্গ
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ৭ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৫, ৯ আগস্ট ২০১৭
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া এবং ক্রমাগত পরিবেশ দুষণের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আশংকা থেকেই বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অর্থনীতির দেশ চীন ‘ফরেস্ট সিটি’ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যান্য দেশও সবুজ গাছ গাছালি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে-তে আকাশে মেঘমালা ছোঁয়া একটি অত্যাধুনিক ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এই ভবনে থাকবে ২৩ হাজার সবুজ গাছ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কেন্দ্রীয় পার্কে যতগুলি গাছ আছে এই একটি ভবনে সেই পরিমাণ গাছ থাকবে। আর ভবনটিতে ৪০টি বিলাসবহুল আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টও থাকবে।
এতে থাকা গাছগুলো বছরে ১৩০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষন করবে। যে পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরিত হয় ২৭টি গাড়ি থেকে। ভবনটির প্রধান ডিজাইনার ভিনসেন্ট সেলাবট একথা জানিয়েছেন।
ভবনটির নাম রাখা হয়েছে, তাও ঝু ইয়িন ইউয়ান টাওয়ার বা আগোরা গার্ডেন। গত জুলাই মাসের মধ্যেই ভনটির চুড়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আর সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ভবনটি ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ভবনটির রয়েছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯৪ বর্গফুটের কাঠামো, নিচ থেকে ডাবল-হেলিক্স ৯০ ডিগ্রি মোচড় যা দেখতে অনেকেটা ডিএনএ এর পেঁচানো আকৃতির।
২০ তলার ভবনটি তাইপে শহরের জিন ই জেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এর সর্বোচ্চ তলাটির কাজ শেষ হয়। এর ব্যালকনিতে থাকা গাছগুলো প্রতি বছর ১৩০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিবে। ভনটির হলওয়েতেও গাছ থাকবে। যেগুলোর মেঝে হবে কাচের। প্রতিটি ইউনিটে থাকবে একটি লিভিং রুম, ডাইনিং রুম, ফ্যামিলি রুম, রান্নাঘর এবং ওয়াক ইন ক্লোসেট সহ একাধিক বেডরুম।
দুটি পেন্ট হাউজের প্রতিটির আয়তন ৫ হাজার ৯২০ বর্গফুট। বাসিন্দারা ভবনটির চত্বর থেকে তাইপে-র মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবে। এর ভেতরে আছে সুইমিং পুলও। একটি গ্যারেজ এবং ফিটনেস সেন্টারও থাকবে। দুটিতেই প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।
বেলজিয়ামের স্থপতি সেলেবট ভবনটির নকশা করেছেন। তিনি সবুজ ভবন নির্মাণের জন্য বিখ্যাত। তিনি এই ভবনটিকে মানব জাতির জন্য আরো টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি ছোট পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
//এআর