বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সিম পুণঃনিবন্ধন সরকারের বড় সাফল্য
প্রকাশিত : ০৯:১৪, ১০ মে ২০১৬ | আপডেট: ০৯:১৪, ১০ মে ২০১৬
বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সিম পুণঃনিবন্ধন, নিরাপদ টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে, সরকারের বড় সাফল্য বলে মনে করেন, অপরাধ বিজ্ঞানী ও তথ্য প্রযুক্তিবিদরা। তাদের মতে, আঙুলের ছাপের তথ্য অপব্যবহার করে, দেশকে বড় ঝুঁকিতে ফেলা সম্ভব নয়। বরং, এ পদ্ধতিতে সিম পুন:নিবন্ধনের ফলে এরিমধ্যে, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, অপরাধী সনাক্তকরণে সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা বিটিআরসি।
গেল পাঁচ মাসে, দেশের চালু থাকা, ১৩ কোটি ৮ লাখ এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ কোটির বেশি সিম ‘আঙুলের ছাপ বা বায়োমিট্রিক’ পদ্ধতির পুনঃনিবন্ধনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
বিশাল এই তথ্য ভান্ডার, অপরাধী সনাক্তকরণ কিংবা বিপদগ্রস্থ মানুষকে সহায়তা দিতে, বড় অগ্রগতি বলছেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা।
যদিও, আঙ্গুলের ছাপের তথ্য বে-সরকারী কিংবা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের হাতে যাবার যৌক্তিকতা নিয়ে সমালোচনা বিস্তর। তথ্য প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, বিশ্ব বাস্তবতায় সাইবার অপরাধ থেকে মুক্ত নয় কেউই।
এ ধরনের স্পর্শকাতর ডিজিটাল তথ্য যাতে, তৃতীয় কোন পক্ষের কাছে যেতে না পারে- তা নিশ্চিত করাই মূখ্য বলেই মনে করেন, টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিটিআরসি অত্যন্ত আশাবাদী। নিবন্ধিত সিমের সুবিধা এরইমধ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে বলেই মনে করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান।
এই অগ্রগতি, দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার শুভ-সুচনা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন