ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপি একটা খুনী রাজনৈতিক দল: শাজাহান খান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৭, ২৬ মে ২০২৩

বিএনপি-জামাত তথা দেশ বিরোধী অশুভ চক্রের অপরাজনীতি, নৈরাজ্য ও চক্রান্তের অংশ রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ কর্তৃক প্রকাশ্য জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ-উত্তর। 

রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি, বিশেষ অতিথি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান এমপি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি ও ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে আসতে চায়। অতীতে বিএনপি অতীতে খুন করে ক্ষমতায় এসেছে এবং খুন করেই ক্ষমতায় থেকেছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। পৃথিবীর অন্যান্য গনতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই হবে। এখানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। ক্ষমতায় আসতে হলে দেশের জনগনের কাছে গিয়ে ভোট চান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি আপনারা অংশ না নেন তাহলে রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনাদের মৃত্যু হবে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেন। তা না করে যদি জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় যদি আপনারা ব্যাঘাত ঘটান তার দাঁতভাঙ্গা জবাব আপনারা রাজপথেই পাবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র যুবলীগের নেতা-কর্মিরা প্রতিহত করতে সক্ষম। 

তিনি আরও বলেন, গুম-খুনের রাজলীতি শুরু করে জিয়া। সে ক্ষমতায় এসে বহু মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অনেককে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততার প্রমান পাওয়া যায় খুনীদের পুরস্কার হিসেবে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেয়ার মাধ্যমে। পাকিস্তানী ভাবধারায় জয় বাংলা শ্লোগান বাদ দিয়ে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করে। এজন্য শাজাহান খান জিয়ার মরনোত্তর বিচার দাবী করেন। জিয়ার গুম-খুনের রাজনীতি খালেদা জিয়াও চালিয়ে যান। সারের জন্য ১৭ জন কৃষক, বিদ্যুতের জন্য কানসাটে ১৮ জন গ্রামবাসী, শ্রমিক আন্দোলনে ২ জন শ্রমিক, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২৩ জনসহ অসংখ্য মানুষকে খালেদা জিয়া হত্যা করে। বিএনপি খুনির দল এজন্য তারা খুনি দল নিয়ে জোট গঠন করে। বিএনপি জোটের দল জামাত মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালীকে হত্যা করে। জাগপা ৭২ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ৭ জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে।

শাজাহান খান আরো বলেন, আমেরিকা আজ নতুন করে ভিসার নিষেধাজ্ঞা দেয় নাই। এদেশে ভিসার সেংশন বা নিষেধাজ্ঞা প্রথম আসে তারেক জিয়াকে নিয়ে। মিথ্যাচার আর মানুষ খুন খালেদা জিয়ার দুই গুণ। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করে এদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান যুবলীগ নেতা-কর্মিদের। 

বিশেষ অতিথি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশে গনতন্ত্র হত্যা, ভাত ও ভোটের অধিকার হরন এবং মুক্তিযোদ্ধা হত্যার জন্য জিয়ার মরনোত্তর বিচার দাবী করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি প্রশ্ন রাখেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে কি করে বিএনপি জোটের অসত্য ও মিথ্যা কথা প্রচার হয়? বঙ্গবন্ধুর সময়ে পাট ও খাদ্য গুদামে আগুন দিয়ে খাদ্য সংকট তৈরি করেছিল। শেখ হাসিার সময়েও একই কাজ করার চেষ্টা করছে। মনে রাখবেন মানুষের পাশে আছে শেখ হাসিনা সরকার। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ছেন। কেউ যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আমরা তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেব।  
যুবলীগ সাধারন সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, কার ইঙ্গিতে, কার প্ররোচনায় চাদ একথা বলেছে তা আজ স্পষ্ট। 

খালেদা-তারেকের প্রত্যক্ষ মদদে আজ শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রদান করছে বিএনপি নেতারা। ১৯ বার তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আল্লাহ রহম করেছে এদেশের মানুষের জন্য। নিখিল আরো বলেন, দেশকে আপনারা জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান। 

বাংলাদেশের জনগনের উপর যদি আপনারা চড়াও হন তাহলে কিন্তু এদেশের যুবসমাজ সেটা মেনে নেবে না। আমাদের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্ম রাজপথে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করতে করতেই আমাদের জন্ম। পালিয়ে যাবেন আপনারা, বিএনপি বাংলাদেশের মানুষকে ধারণ করে না। তাদের সাথে মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। আজকে নতুন প্রজন্ম জাগ্রত, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে এখন মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না। যুবলীগের নেতা-কর্মিরা আদর্শের এই সংগঠনকে ভালোবাসে বলেই শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে আছে এবং থাকবে। যুবলীগ নেতা-কর্মিরা বিএনপি-জামাত ও দেশ বিরোধী চক্রের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে সর্বদা প্রস্তুত আছে। 

বিক্ষোভ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সহ-সভাপতি বাদল মহসিন, মজিবর রহমান বাবুল, আকতারুজ্জামান আকতার, যুগ্ম সম্পাদক তাজবিরুল হক অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, ক্রীড়া সম্পাদক মো. সেলিম মৃধা, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ গন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কাইসুর রহমান সিদ্দিক সোহাগ, উপ তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, উপ শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক তারেক হোসেন বাদল, উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. কবির আহমেদ খান জনি, উপ জনশক্তি ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান শাহ কামরুল, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন, উপ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মর্তুজা হোসেন সরকার হিমেল, উপ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আমির হোসেন আমরু, সদস্য এনামুল হক, আবু বকর সিদ্দিক প্রবাল, মো. শামসুল আলম খান ফারুক, মামুনউজ্জামান লিটু, সুলতান সরদার, খোকন মাহমুদ নির্ঝর, জিয়া উদ্দিন বাদল, আব্দুল বাতেন, শেখ আলামিন, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম রবিউল ইসলাম সোহেল, সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন থানার সভাপতি সাধারন সম্পাদক,  আহবায়ক-যুগ্ম আহবায়ক এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ। 
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি