বিএনপির সমাবেশ শুরু
প্রকাশিত : ১৬:০৮, ২০ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩২, ২০ জুলাই ২০১৮
প্রখর রোদ ও তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা নেত্রীর মুক্তির দাবিতে জড়ো হয়েছেন। তাঁদের স্লোগানে মুখর গোটা এলাকা। মূলত দীর্ঘদিন পর সমাবেশ করার সুযোগ পাওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহের কমতি নেই। তাঁরা স্লোগানে স্লোগানে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছেন।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। এরই মধ্যে সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। এখনও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন। সমাবেশ থেকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসা ও সব রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানানো হচ্ছে। তবে সমাবেশের অনুমতি পেলেও সময় স্বল্পতার কারণে মঞ্চ তৈরির সুযোগ পায়নি বিএনপি। ফলে খোলা ট্রাকের মঞ্চ থেকে সমাবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ কর্মকর্তারা।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, কিছু শর্ত বেঁধে দিয়ে ডিএমপি সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে বিএনপিকে। সেই সব শর্ত মেনে দলটিকে সমাবেশ করতে হবে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টার মধ্যেই সমাবেশ শেষ করতে হবে। লাঠি, বাঁশ, ছুরি, কাঁচি, বিস্ফোরকদ্রব্য মিছিলে ব্যবহার করা বা সমাবেশে নেওয়া যাবে না। সমাবেশ চলাকালে রাস্তা দখল করে নেতাকর্মীরা দাঁড়াতে পারবেন না। বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়ালে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজার রায়ের পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
সেখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দাবি করে তাকে মুক্তি দিয়ে ঢাকার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।
এ দাবিতে গত ১৫ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি; সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
টিআর/
আরও পড়ুন