বিকল্পধারা থেকে ছিটকে পড়লেন বি. চৌধুরী ও মাহী
প্রকাশিত : ১২:৪২, ১৯ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:০৬, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ। শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নুরুল আমীন ও বাদল।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল আমীন বেপারীকে সভাপতি ও দলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলকে মহাসচিব করে দলটি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
নতুন সভাপতি নুরুল আমীন বেপারী বলেন, দু-একদিনের মধ্যেই তলবিসভা ডেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। নতুন মহাসচিব শাহ আহমদ বাদল বলেন, সংবাদ সম্মেলনের জন্য আমরা প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে বুকিং দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। এ জন্য আমাদের প্রেসক্লাবের সামনেই নতুন কমিটি ঘোষণা করতে হলো। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলন না করার জন্য আমাকে মোবাইলে হুমকি দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নতুন কমিটি নিজেদেরকে মূল স্রোতের অংশ হিসেবে দাবি করেন।
গত ১৩ অক্টোবর ঘোষণা দেয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতে আলোচনা চলছিল বি. চৌধুরীর সঙ্গেও। তবে তার দলের পক্ষ থেকে বিএনপিকে জামায়াত ত্যাগ এবং আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষায় কিছু শর্ত দেয়া হচ্ছিল।
গত ১২ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের বাসায় বি. চৌধুরীকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে অনুপস্থিত থাকেন ড. কামাল আর বিষয়টি চৌধুরীকে জানানোও হয়নি। এ নিয়ে তিনি অপমানিত বোধ করেন।
১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনের দিনই পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বি. চৌধুরী বলেন, নতুন জোট গঠনের আসল উদ্দেশ্য বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা। সে প্রক্রিয়ায় তারা ভবিষ্যতেও থাকবেন না।
তবে একই দিন বিকল্পধারার একটি অংশ জাতীয় ঐক্যে থাকবে বলে জানা যায়। যদিও সেই ভাঙন সেদিন আনুষ্ঠানিক রূপ নেয়নি।
বিকল্পধারা ব্র্যাকেটবন্দি হওয়ার ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এর সাধারণ সম্পাদক শাহ আহম্মেদ বাদল বলেন, ‘বি চৌধুরী অন্ত ভালো মানুষ কিন্ত তার ছেলে মাহী বি চৌধুরীর কূটচালে তিনি শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতে পারেননি।’
বিএনপির শরিক দলগুলোর মধ্যে বেশ কিছু দলই ব্র্যাকেটবন্দি। পাঁচটি দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার পর দলের সভাপতি বা চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করে একই নামে দল হিসেবে জোটে রয়ে গেছেন অন্যরা। এর সবশেষ সংযোজন বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি।
এর আগে এনপিপি, ইসলামী ঐক্যজোট, ভাসানী ন্যাপ ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার পরও একই প্রক্রিয়ায় শীর্ষ দুই নেতাকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি করে জোটে থেকে যায় দলের অপর অংশ।
আরকে//
আরও পড়ুন