বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবারো প্রশাসনের হাতে : মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত : ১৮:৪৪, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আবারো প্রশাসনের হাতে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী পরিষদের প্যানেল পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আমরা বহু কথা, বহু আন্দোলন করেছি। এ নিয়ে সংসদে আইন পাশ হয়েছে। দুর্ভাগ্য এটাকে কোনোভাবেই মুক্ত করা গেল না। সদ্য বিদায়ি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা যখন মুক্তির চেষ্টা করেছেন তখন তাকে পদ হারাতে হয়েছে, তাকে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছে। আর আমরা কথা বলতে গেলে নেমে আসে মামলার খড়গ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বেশিরভাগই ফলাফল শূন্য। তারপরও আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। কারণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সকল সত্যকে ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ।
তিনি বলেন, আজ বড় কঠিন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এ সময়টা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচাইতে কলঙ্কজনক অধ্যায়। বচর্তমানে গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের নামে জনগণের মৌলিক অধিকার, শিক্ষক সমাজের অধিকার, ছাত্রসমাজের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে কোনোরকম কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে অংশ নিতে দেয়া হচ্ছে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিশেষ দলের প্রাধান্য বিস্তার করছে।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, দেশ এখন এক গভীর সংকটে ডুবে আছে। নানামুখী ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। মানুষের অধিকার রক্ষার যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের আসল লড়াই।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আকতার হোসেন খানের পরিচালনায় এবং বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ঢাবি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাবির সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ড্যাব সভাপতি একেএম আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
/ আর / এআর
আরও পড়ুন