বিচারকের সামনে যেভাবে হত্যা করা হয় ফারুককে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ১৫ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২০:২২, ১৫ জুলাই ২০১৯
কুমিল্লায় আদালতের এজলাস কক্ষে বিচারকের সামনেই ফারুক নামে এক আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আরেক আসামি। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর এজলাস কক্ষে বিচারকের সামনেই এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আদালত চলাকালীন সময়ে বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের সামনেই হাসানকে ধাওয়া করেন ফারুক। ফারুককে হাসান ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফারুক।
আদলতে এ ঘটনার বিবরণে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটা হচ্ছে আজকে একটা মামলার বিচার কাজ চলছিল, ৩য় জজ আদালতে। মামলার দুইজন আসামি একজনের নাম হাসান, একজনের নাম ফারুক। দুইজন হচ্ছেন মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা জামিনে আছেন এবং আদালতে হাজিরা দিতে এসেছেন। দুইজনের মধ্যে এ মামলা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
তিনি বলেন, আজকে যে এই হত্যা করছেন সে (হাসান) মনে করে, মামলায় (বিচারাধীন) সে নির্দোষ। ফারুকের কারণে (অপর আসামি ও হত্যাকাণ্ডের শিকার) হাসান আসামি হয়েছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আজকে ফারুক হাজিরা দিতে আসার আগে হাসানকে ফোন করে বলেন যে, আদালতে না আসলে বেল (জামিন) কেটে দিবে। তখন সে (হাসান) বলে, আমি যেতে পারব না। তখন দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার জেরে দুইজনের মধ্যেই উত্তেজনা কাজ করছিল। দুইজনই আলাদাভাবে আদালতে এসেছেন।
তিনি বলেন, হাসান ফারুককে ছুরিকাঘাত করবেন এই ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই আদালতে আসেন। হাসান কোমরের সাথে একটি ছুরি নিয়ে আসেন। এজলাসের ভেতরে যখন দুইজন একত্রে দাঁড়িয়েছেন তখন এজলাসের ভেতরেই তাকে (ফারুক) ছুরিকাঘাত করার জন্য হাসান ধাওয়া করেন। একটা সময় ফারুক দৌঁড় দিয়েছেন সাথে সাথে পুলিশও দৌঁড় দিয়েছে। দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ৩য় জজ ম্যাডামের রুমের ভিতরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করলে ফারুক পড়ে যায়। হাসান তখনও ফারুকের উপরে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ফারুকের গায়ে এখন পর্যন্ত আমরা তিন চারটা ছুরিকাঘাতের দাগ পেয়েছি।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, হাসানকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করেছি। একই সাথে ছুরিটাও উদ্ধার করা হয়েছে। এবং হাসানের যে জবানবন্দি নিয়েছি সেখানে বলেছেন, ফারুকের কারণে ঐ মামলার আসামি হয়েছেন এবং সে কারণে ফারুকের উপরে তার (হাসান) ক্ষোভ। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই আদালতের ভেতরে এসে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজলোয় ২০১৩ সালের ২৬ আগষ্ট সংঘঠিত হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন হাসান ও ফারুক। নিহত আসামি ফারুক কুমিল্লার লাকসাম উপজলোর অহিদুল্লাহর ছেলে। ঘাতক একই উপজেলার শহিদুল্লার ছেলে হাসান।
এমএস/
আরও পড়ুন