‘বিজয়ের মহোৎসব’র তৃতীয় দিনে প্রদর্শিত হল পুতুল পুরাণ
প্রকাশিত : ২২:২২, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ‘বিজয়ের মহোৎসব ২০১৮’ শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আরোজন করেছে। একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে ২১-২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ প্রতিদিন নানান আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় বিজয়ের মাসে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ স্লোগানে এই আয়োজন চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন ৪:৩০টায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হবে। থাকবে আলোচনা, চলচ্চিত্র, নাটক, পালা, সঙ্গীত ও নৃত্য, অ্যাক্রোবেটিকসহ নানান ধরনের পরিবেশনা।
২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সাড়ে ৪টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে শুরু হয় তৃতীয় দিনের আয়োজন। শুরুতে প্রামাণ্যচিত্র ‘মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় চারনেতা এবং স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র পুতুল পুরাণ প্রদর্শিত হল। একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ড. কাজী আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যজন ও আইটিআই বিশ্ব কেন্দ্রের সম্মানিত সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, শিল্পী আব্দুল মান্নান এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
‘টাকডুম টাকডুম বাজাই..’ এবং ‘আইজ কেন মোর প্রাণ সজনী গো..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য সংগঠন ধৃতি। ‘ও আমার বাংলা মা তোর..’ এবং ‘জলে গিয়েছিলাম সই..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমি। ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে..’ এবং ‘আজি বাহাল করিয়া..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য সংগঠন নান্দনিক। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাইফুল ইসলাম, কিরণ চন্দ্র রায়, আবিদা সুলতানা সেতু, শরীফ সাধ এবং অপু।
ঋত্বিক ঘটক-এর রচনায় এবং অভিজিকৎ সেন গুপ্ত পরিচালিত নাটকের অংশ বিশেষ পরিবেন কনে দৃষ্টিপাত নাট্যদল। লিয়াকত আলী লাকী’র গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটক পরিবেশন করে লোক নাট্যদল(সিদ্বেশ্বরী)। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য গম্ভীরা পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্না তিথি।
আরকে//
আরও পড়ুন