বিটবুর্গ রহস্য: টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে এক রহস্যময় কাহিনি
প্রকাশিত : ১৪:৫১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পরাবাস্তব আর বাস্তবের অলৌকিক সংঘাত! ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে বিটবুর্গের গভীর জঙ্গলে আছে এক রহস্যময় বাড়ি। বর্তমানে যেটি নেকড়েদের অভয়ারন্য। এই বাড়িকে ঘিরে ঘটছে কিছু আধিভৗতিক ও রহস্যময় সত্যি ঘটনা, যা বাস্তবকেও হার মানায়। সেইসব রক্ত হিম করা কাহিনির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে লেখক দেখেছেন পরাবাস্তব আর বাস্তবের এক অলৌকিক সংঘাত।
আবদুল্লাহ আল হারুনের বাস্তব আর প্যারানরমাল কাহিনি নিয়ে বিশাল ক্যানভাসে লেখা উপন্যাস বিটবুর্গ রহস্য। পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু ঘটনা আছে যার কোনো কারণ দর্শানো যায় না। কিছু ঘটনা যা বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। যা রহস্য হয়েই থেকে যায়। সমাধান করার কোনো গাণিতিক সূত্রও থাকে না, আর সেই কারণেই হয়তো আধিভৌতিক বা প্যারানরমাল শব্দটির জন্ম। অনেকে বলেন প্যারানরমাল বা আধিভৌতিক রহস্যের অনেক ঘটনা, চিত্র, পটভূমি, প্রতিবেশ, পরিপ্রেক্ষিত বোঝা যায় না। বিটবুর্গ রহস্য তেমনি একটি বাস্তব আধিভৌতিক ও সময়ভ্রমণ (টাইম ট্র্যাভেল) কাহিনি।
এই বইটিতে কাহিনির ঘনঘটা এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে যে অনেক কিছুই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে না। সব কিছুর হেতু ও তাৎপর্য্য কখনই বিশ্লেষণ করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং সেটা আধিভৌতিক বলে প্রবল যুক্তিবাদী পাঠককেও কিছুটা দ্বিধায় ফেলে দেবে। বিশ্বাস এবং জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা খুব একটা সহজ ব্যপার নয়; যেমনটা বোধ এবং উপলব্ধির মধ্যে হয়ে থাকে। পদার্থবিদ্যার নতুন কোনো থিয়োরি প্রথমে অনুমানের মধ্যে জন্ম নেয় এবং পরে ক্রমে প্রমাণের মাধ্যমে নিশ্চয়তা লাভ করে, নতুবা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়।
এই বইর কাহিনিতে ষাটের দশকে এদেশের সামাজিক অবস্থা এবং সত্তর দশকের মাঝামাঝি লেখকের ইউরোপে থিতু হওয়ার প্রেক্ষিত তথা তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে খুব নির্মোহভাবে। এই বর্ণনায় লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতি, পাওয়া-না পাওয়ার টানাপোড়েন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্তের দ্বন্দ্ব, টান টান উত্তেজনায় বিধৃত হয়েছে পরতে পরতে। এর সাথে সম্পৃক্ত চরিত্রগুলোর নানারকম বৈচিত্র্য এবং মানবজমিনের এক অদ্ভুত বিশেষত্ব ধরা পড়বে পাঠকের চোখে।
বিশ্বাস এবং জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা খুব একটা সহজ ব্যপার নয়; যেমনটা বোধ এবং উপলব্ধির মধ্যে হয়ে থাকে। পদার্থবিদ্যার নতুন কোনো থিয়োরি প্রথমে অনুমানের মধ্যে জন্ম নেয় এবং পরে ক্রমে প্রমাণের মাধ্যমে নিশ্চয়তা লাভ করে, নতুবা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়। ‘আমি বিশ্বাস করি’ এর অর্থ একটাই- যার কোনো বিকল্প নেই। উদাহরণ ইসলাম ধর্মের প্রধান ভিত্তি ও অস্তিত্ব যার উপরে নির্ভরশীল, সেই কোরআন শরীফের প্রথম সূরার প্রথম অধ্যায়ে ‘মোমিনের’ সংজ্ঞা নির্ধারণে যে পাঁচটি শর্তের উল্লেখ আছে, তার মধ্যে প্রথমটিই হলো, ‘অদৃশ্যের উপরে বিশ্বাস করা’। তারপর অন্য চারটি। এজন্যই বিশ্বাস বজায় রাখা যেমন সহজ তেমনি একে বদলানো খুবই কঠিন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যারা একে অপরকে হত্যা পর্যন্ত করতে উদ্যত হয় সেখানে প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করে ‘অন্ধ ও আপোষহীন বিশ্বাস।’ এজন্যই অনেক বিশেষজ্ঞ ধর্মকে বিজ্ঞানের সঙ্গে এক সাথে আলোচনা করতে নারাজ।
বোধ এবং উপলব্ধির মধ্যেও পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ম এবং যুক্তিতর্কের ঊর্ধে। দৃষ্টি এবং দৃষ্টিবিভ্রমের মধ্যেও প্রভেদ করা মাঝে মাঝে অত্যন্ত কঠিন। বিশেষ করে শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষমতাই যদি কখনও এলোমেলো হয়ে যায়। আমাদের পার্থিব জীবনকে অনেক দার্শনিক অলীক এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কোনো বৃহৎ শক্তির হাতের খেলা (কম্পিউটার গেম) বলে মনে করেন। ‘যা দেখছি তা সত্য নয়, যা দেখছি না, তাই সত্য’- সনাতন হিন্দু ধর্মের ‘মায়া-দর্শনে’ও তারই প্রতিফলন। ইসলাম ধর্মের সূফি মতবাদেও তার স্বীকৃতি পাওয়া যায়। তথাকথিত ‘ম্যাট্রিক্স’ বাস্তবতাতেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতে বিভিন্ন ডাইমেনশনের কথা বলা হয়।
অ্যালিয়েন, রোবোট, ভিন্ন গ্রহের জীবন এখন পর্যন্ত সবই অলৌকিক এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত শতাব্দির শুরুতে আইনস্টাইনের ‘বিশেষ ও সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিস্কারের পর ‘টাইম-ট্র্যাভেল’ এর মত কিছু ‘অবোধ্য’ ও ‘বিতর্কিত’ বিষয় গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ‘থিয়োরিটিক্যালি’ প্রমাণিত হয়েছে, যদিও এর দ্রুত বাস্তবায়ন হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্ত ভবিষ্যতে কোনো এক সময়ে যে মানুষ গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে এবং আন্ত-গ্যালাক্সি ভ্রমণ করবে। সৌর জগতের বাইরে বসতি স্থাপন করবে তা একরকম নিশ্চিতই বলা যায়। আজকাল অধিকাংশ পদার্থবিদ ‘টাইম-ট্র্যাভেল’কে তাই বাস্তবসম্মত ও সম্ভব বলে মনে করেন।
বর্তমানে মানুষ তার জীবনকে প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য উত্তরণ- কম্পিউটার, মুঠোফোন, নানাধরনের সহায়ক-টেকনোলজি জীবনের মান, আয়ু, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, মহাশূন্যের গবেষণা ইত্যাদির মাধ্যমে গত একশ বছরে মানব-সভ্যতাকে এক অভাবনীয় উচ্চে তুলে নিয়ে এসেছে। যুদ্ধ, ধ্বংস, শোষণ, অবিচার, ক্ষুধা, দারিদ্র্যকে পূর্ণভাবে দূর করা যায়নি। কিন্ত মানুষের সচেতনতা, আত্মসম্মানবোধ, শিক্ষার বিস্তার, যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিশেষ করে নারী স্বাধীনতার অগ্রগতি প্রায় সর্বত্র প্রতীয়মান। খাদ্য, বাসস্থান, অধিকার, জীবন-যাপনে স্বাচ্ছন্দ্য, প্রতিবেশের প্রতি মনোযোগ ইত্যাদি বর্তমান যুগের উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি।
কিন্ত এত কিছুর পরেও মানুষ তার জীবনের ‘প্রারম্ভ’ এবং ‘শেষ’কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি এবং (মনে হয়) কোনোদিন পারবেও না। আমি জন্ম ও মৃত্যুর কথা বলছি। কেউ জানে না ‘কেন কোথায়, কখন’ তার মাতৃজঠরে আবির্ভাব ঘটেছিল। বায়োলোজিক্যাল ব্যাখ্যা অবশ্যই আছে কিন্ত, সন্তানের সংখ্যা হয়ত নির্ধারণ করা সম্ভব (জন্মনিয়ন্ত্রণ) কিন্ত জন্মমুহূর্তের নির্দিষ্ট সময়টির আন্দাজ করা বা যে সন্তানটি জন্ম নিল, তার কাছে সে সময়টি সবসময়েই অজানা থেকে যায়। জন্ম মুহূর্ত, রাশি, নক্ষত্র সবই সে বাবা মা বা অন্যদের কাছে শুনে থাকে। প্রগতির বর্তমান চরম উন্নয়নের সময়েও পৃথিবীর ক’জন তার সঠিক জন্মদিনটি জানে? অন্তত আমি যে জানি না তার প্রমাণ আমার মরহুম বাবা-মা, বড় ভাই-বোন বা অন্য জ্যেষ্ঠরা আমার জন্মদিনকে একেকজন ভিন্ন ভিন্ন তারিখ বলে উল্লেখ করতেন। আমার বহু অনুনয় বিনয়ের পরেও তারা একমত হননি। শেষ পর্যন্ত মেট্রিক পরীক্ষায় ফরম ফিলাপের মুহূর্তে (আমাদের সময়ে তখনি প্রথম জন্মদিন লেখার প্রয়োজন হতো) বাবার বলা তারিখটি স্থায়ীভাবে আমার জন্মদিন হয়ে যায় এবং এখনও তাই আছে। যদিও জীবদ্দশায় আমার মা ও বড়বোন দৃঢ়ভাবে তার প্রতিবাদ করতেন। সে তর্কের বহুদিন আগেই অবসান হয়ে গেছে। তারা সবাই এখন মৃত।
ইউরোপ-আমেরিকার কথা স্বতন্ত্র। এখানে শতকরা ৯৯.৯টি সন্তানই হাসপাতালে জন্ম নেয়। জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে যায়! সেজন্যই এদের জন্ম এবং মৃত্যুর দিনক্ষণের হিসেবের গোলমাল হয় না। আমাদের দেশেও এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় জন্ম নিবন্ধন হচ্ছে। কিন্ত আমি সরকারি নিবন্ধনের কথা বলছি না, যা তৃতীয় পক্ষ করে থাকে। আমার কথা হলো কখন আপনি মারা যাবেন তা আপনি আপনার জীবনে কখনই নিশ্চিত হতে পারেন না। আপনার জন্মদিনের খবর যেমন আপনি আরেকজনের কাছে শুনে থাকেন, আপনার মৃত্যুর দিনটিও আপনার অজান্তেই আসবে। জানবে অন্যরা আপনি নন! মরণের পরে অন্য ভুবনে গিয়ে আপনি তা অবগত হবেন কি না তা কেউ জানে না। কারণ সেখান থেকে কেউ ফিরে আসে না, কেউ কোনোদিন আসবেও না। এটাই মানবজীবনের পরম, চরম এবং সবচাইতে বড় সত্য। এটা যত বেশি করে বিশ্বাস করবেন, ততই আপনার ‘মৃত্যুভয়’ কমে আসবে!
যারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত মৃত্যুগবেষকরা মরণের পরে আরেকটি জীবনে বিশ্বাস করেন। তার প্রমাণও রয়েছে অনেক। তবে সে জীবন অন্য আরেকটি ভুবনে, এখানে এই পৃথিবীতে নয়। দুঃখের বিষয় হলো সেখানে গিয়ে কেউ আর এখানে ফিরে আসে না, স্বপ্নের কথা স্বতন্ত্র। তাই সে ভুবন চিরদিন জীবিতদের কাছে অজানা হয়েই থাকবে।
চিকিৎসকরা এখন মানব শরীরের হৃদয়, চক্ষু, কর্ণ সব কিছু বদলে দিতে পারেন। প্লাস্টিক সার্জারি, ওপেন হার্ট অপারেশন এখন ডালভাত! আমারও হয়েছে ২০১২ সালে! ক্রোধান্বিত হয়ে ভৃগু ঋষি দেবাদিদেব মহাদেব শিবের বুকে লাথি মেরেছিলেন, ‘বিদ্রোহি’ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম তার উল্লেখও করেছেন।
পারসি সূফি হাল্লাজ নিজেকেই ‘আমি খোদা’ (আনাল হক) বলেছেন। মানুষের চন্দ্রে গমনের ৫০ বছর পার হয়ে গেছে। অচিরেই মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন হবে। একফসলি জমি তিন ফসলি হয়েছে, ৭০০ কোটি লোকের অন্নের সংস্থান হয়েছে (যদিও খাদ্য বন্টন সর্বত্র মানবিক নয়!)। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, পৃথিবীতে ১০০০ কোটি পর্যন্ত লোকসংখ্যার খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব। এবং ততদিনে অন্যগ্রহে লোকজনের মাইগ্রেশন শুরু হয়ে যাবে। এক-দুইশ বছরের মধ্যে মানুষ কাজকর্ম ছেড়ে সব সময় অবসরে কাটাবে। এ গ্রহে সে গ্রহে বেড়াতে যাবে। কারণ রোবোটরা তখন সব কিছু করবে। আমাদের কিছুই করার থাকবে না। ইচ্ছামত আয়ু বড়ানো যাবে। কিন্ত মত্যু কি ঠেকানো যাবে?
বৈজ্ঞানিকরা এর উত্তর দিতে ইতস্তত করেন। সাড়ে চার হাজার বছর আগে নির্মিত পিরামিডও থার্মোডায়ানিমিক থিয়োরির তিন নম্বর সূত্র অনুযায়ী একদিন ধ্বংস হবে। সূত্রটি হলো, ‘তাপগতিবিদ্যার তৃতীয় আইন আমাদের তাপও গতির যুগ্ম পরিণাম বুঝতে সাহায্য করে। এই সূত্রটি পরম শূন্যকে সংজ্ঞায়িত করে এবং তার ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। তা হলো, মহাবিশ্বের ‘এনট্রপি’ বা ‘বস্তুর পতন’ বা ‘রূপান্তর’ একটি ধ্রুবক যা সবসময় একটি শূন্যহীন মানের দিকে ধাবিত। সূর্য, সৌরজগত ও পৃথিবীও কয়েকশত কোটি বছর পরে ধ্বংস হবে। এমনকি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডও একদিন হাজার কোটি বছর পরে হলেও ধ্বংস হবে! তাহলে মানবজীবনের ভরসা কী?
তাই আপাতত ‘সময়-ভ্রমণ’ নিয়ে আলোচনা করা যাক। অতীত বা ভবিষ্যতে যদি মানুষ একদিন ‘ওয়ার্ম (কিট) হোল, ব্ল্যাক হোল বা হোয়াইট হোল’ দিয়ে যাতায়াত করতে পারে, মন্দ কি! মৃত দাদা-দাদি, নানা-নানি, বাবা-মা, বন্ধু, প্রিয়জনদের সাথে সাক্ষাত হবে। ভবিষ্যতের সাথেও অগ্রিম সাক্ষাৎ হবে। এ বইয়ের কাহিনীটি আমার মনঃচিকিৎসককে বিস্তারিত বলার পর, তার অভিমত ছিল, ‘ঘটনাটি অতীতের সাথে আমার সাক্ষাৎকার’! হবেও হয়ত। আমি নিশ্চিত নই। সত্য না অসত্য, তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব পাঠক-পাঠিকাদের উপরে ছেড়ে দিলাম। ‘সময়-ভ্রমণ’ বা ‘টাইম-ট্র্যাভেল’ বর্তমান যুগে পদার্থ বিজ্ঞানীদের জন্য একটি খুবই বিতর্কিত বিষয়। তবে আইনস্টাইনের ‘জেনারেল থিয়োরি অব রিলেটিভিটি (১৯১৫) তত্ত্ব অনুযায়ী’ সময় ও স্থান (Time and Space) চতুর্থমাত্রা (4th Dimension) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পর ‘সময়-যাত্রা’ বিজ্ঞানসম্মত বলে স্বীকৃত হয়েছে। অধিকাংশ বিজ্ঞানী ভবিষ্যত-ভ্রমণ সম্ভব মনে করেন। তবে অতীত ভ্রমণ নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। দূর ভবিষ্যতে প্রযুক্তির আরও উন্নতি হবে, মানুষ গ্রহান্তরে ও আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে গতির সমস্যার সমাধান করে যাতায়াত করবে তখন হয়ত সময়-ভ্রমণও সম্ভব হবে।
ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার হাহাকার সর্বজনিন। এই না পাওয়াকে কেন্দ্র করে গল্পে মেলি নামের মূল চরিত্র অন্যলোকে গিয়েও কীভাবে দয়িতকে নিয়ে যাবার জন্য টাইম ট্র্যাভেলে ফিরে আসে তার একটি লোমহর্ষক বাস্তব বর্ণনা আছে। গল্পের উত্তেজনা আর নানারকম ঠাসবুনন পাঠককে অবিশ্বাস্য এক ঘোরের মধ্যে রাখবে সন্দেহ নেই।
শেষ পরিণতি জানার জন্য পাঠককে পড়তে হবে এবং সম্পৃক্ত থাকতে হবে কাহিনীর সাথে।
এএইচ