ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বিতর্কিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের কাজ করছে ভারত

প্রকাশিত : ২১:২০, ১৭ মে ২০১৬ | আপডেট: ২১:২০, ১৭ মে ২০১৬

পানি সংকট মোকাবেলায় গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানি প্রত্যাহার করে বিতর্কিত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের কাজ করছে ভারত। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমনটি জানিয়েছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী। তবে, এর ফলে ভাটিতে বাংলাদেশ, এমনকি ভারতেও মূল অববাহিকায় বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খোদ ভারতের পানি বিশেষজ্ঞরাও এই প্রকল্পের বিরোধীতা করছেন। বাংলাদেশের প্রধান ৩টি নদীর দু’টি পদ্মা এবং ব্রহ্মপুত্র। গঙ্গার স্রোতধারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে পদ্মা নামে। কিন্তু, ভারতের সাথে অভিন্ন নদী দু’টির চিরচেনা প্রবাহ আর কতদিন থাকবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তীব্র পানি সংকট কাটাতে আন্ত:নদী সংযোগ দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী জানিয়েছেন, খরা পীড়িত এলাকায় খাবার ও সেচের পানি নিশ্চিত করতে অচিরেই এই কাজ শুরু করা হবে। আর উজানে পানি প্রত্যাহারের তালিকায় থাকছে গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রও। ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করা হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভাটি এলাকা বাংলাদেশ। কমে যাবে পানির প্রবাহ, বাড়বে লবণাক্ততা। শুকিয়ে যাবে এ’সব নদ-নদীর শাখা প্রশাখা। হারিয়ে যাবে মাছের বিচরণ ক্ষেত্র। শুস্ক মৌসুমে পানির সমস্যা দূর করতে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন বিজেপি সরকার প্রকল্পটি হাতে নিলেও পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে, ২০১২ সালে সর্বোচ্চ আদালত প্রকল্পের পক্ষে রায় দিলে আবারো শুরু হয় বাস্তবায়ন কাজ। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৩০টি সংযোগ খালের মাধ্যমে এই পানি প্রত্যাহার করা হবে। যেসব নদ-নদী থেকে এ’সব খালে পানি নেয়া হবে তার ১৪টির উৎস হিমালয়। তবে, ভারতের পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগতভাবে এই প্রকল্প টেকসহ হবে না। তাদের অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের সুদূর প্রসারী চিন্তা না করেই এই প্রকল্প এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি