বিদেশি কর্মী নিতে নতুন নিয়ম করছে মালয়েশিয়া
প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ১৬ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪১, ১৭ আগস্ট ২০১৮
বিদেশ থেকে কর্মী নিতে নতুন নিয়ম করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। এর মাধ্যমে যেসব দেশ থেকে দেশটি শ্রমিক নেবে, সব দেশের ক্ষেত্রেই এক নিয়ম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ শ্রমিক ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে দেশটি।
মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, অবৈধভাবে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে তার দেশকে অনেক জটিলতা পোহাতে হচ্ছে। এ কারণে যেসব দেশ থেকে মালয়েশিয়া লোক নেয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই এক নিয়ম চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাহাথির বলেন, বাংলাদেশ, নেপাল আর অন্যান্য দেশ- সব ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, নতুন ব্যবস্থা চালুর জন্য তার সরকার একটি ‘স্বাধীন’কমিটি করে দেবে, যে কমিটি সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে সুপারিশ করবে।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আরেকটি যৌথ কমিটি করা হবে জানিয়ে মাহাথির বলেন, সরকারি পর্যায়ে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখন মালয়েশিয়ার যেমন চুক্তি আছে, নেপালের সঙ্গেও সেরকম একটি সমঝোতা স্মারক স্বক্ষরিত হবে শিগগিরই।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। সরকারি হিসাবে পাঁচ লাখের বেশি নিবন্ধিত বাংলাদেশি সেখানে বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন; যদিও বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি।
মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর ২০১৬ সালে ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পাঁচ বছর মেয়াদী এই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয় ওই দশটি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।
কিন্তু গত জুনে ওই ব্যবস্থা স্থগিত করে দেশটির সরকার। সেই প্রসঙ্গ টেনে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, দশ এজেন্টের ওই ব্যবস্থায় একটি মনোপলি তৈরি হয়েছিল। আর সেটা ভাঙতেই মালয়েশিয়া সরকার সব নিবন্ধিত এজেন্টের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়ার একটি পথ খুঁজছে।
আরও পড়ুন