ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ জানুয়ারি ২০২৫

বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৭

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৯, ৬ জানুয়ারি ২০২৫

রাজশাহীর বাঘায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে দ্বন্ধে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

আহতদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে দুজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বাঘার বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি অনোয়ার হোসেন পলাশ ও বর্তমান সভাপতি রেজাউল করিমের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এদের মধ্যে রোজাউল করিম রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ (চাঁদ) এবং অনোয়ার হোসেন পলাশ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনের উজ্জ্বলের অনুসারী। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির জন্য আবেদনপত্র জমা দেন আনোয়ার হোসেন পলাশ। এ ছাড়া ওই পদের জন্য আরেকজন বিএনপি সমর্থক পল্লিচিকিৎসক মহসিন আলীও আবেদন করেন। 

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলবল নিয়ে একই পদে আবেদন জমা দিতে আসেন রেজাউল করিমের অনুসারি বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাদের প্রার্থী কলেজশিক্ষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল। বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে তারা বিদ্যালয়ের চেয়ার ও কম্পিউটার ভাঙচুর করে। 

খবর পেয়ে আনোয়ার হোসেন পলাশের অনুসারিরা বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে বাধা দিলে উভয়পক্ষ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ হাতুড়ি-রড ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এত উভয় পক্ষের লোকজন আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- আনোয়ার হোসেন পলাশের অনুসারী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মানিক হোসেন (৪০), একই গ্রামের রুহান আলী (২৩) ও সুজন হোসেন ওরফে বাবু (৩৩)। রেজাউল করিমের অনুসারী হেদাতিপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৮), তেঁতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী (৪০), বাউসা মাঝপাড়া গ্রামের রানা ইসলাম (১৮) ও হেদাতিপাড়া গ্রামের ইনামুল হকও (৩৫)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদুল হক জানান, সাতজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মানিক হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা মাথায় আঘাত পেয়েছেন।

প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, তিনি উপজেলা সদরে মিটিংয়ে ছিলেন। এর কারণে বিদ্যালয়ে ছিলেন না। পরে শিক্ষকের মাধ্যমে চেয়ার ও কমিউটার ভাঙচুরের বিষয়টি জেনেছেন।

বাঘা থানার ওসি আ ফ ম আশাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ নিয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিন বলেন, বড় দল হিসেবে গ্রুপিং থাকবেই। তবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা কারো জন্যই কাম্য নয়। বিষয়টি দলীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি