ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

বাগেরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১১:৩৪, ৯ জুলাই ২০২৩

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে বীরেন মন্ডল (৬০) ও তার স্ত্রী রীতা রানী মন্ডল (৫৫) এর মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (৮ জুলাই) মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের পূর্বজয়পুর গ্রামে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই মৃত্যুকে পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতি হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা। 

তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বলছে, বৃষ্টিতে সুপারি গাছ পরে তার ছিড়ে যাওয়ায় এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

নিহত বীরেন মণ্ডল জয়পুর গ্রামের মৃত পূন্য চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে। রীতা রানী মণ্ডল বীরেন মণ্ডলের স্ত্রী। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। এক ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং আরেক ছেলে বাগেরহাট রামকৃষ্ণ আশ্রমে থেকে পিসি কলেজে পড়াশুনা করছেন। 

ঘটনার সময় ছেলেরা বাড়িতে ছিলেন না।

স্থানীয় অনিতা হালদার বলেন, বীরেন মণ্ডলের ঘরের উপর থেকে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন গেছে। সকালে গাছের ডাল পরে বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরে যায়। এক পর্যায়ে একটি তার বীরেন মণ্ডলের ঘরের সামনে পরে। ওই তার সরাতে গিয়ে বীরেন মণ্ডল বিদ্যুতায়িত হয় এবং তার স্ত্রী রীতা রানী মণ্ডল নিজ ঘরের মেইন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অনিতা আরও বলেন, পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতীতেই এই দুটি প্রাণ গেল। তারা যদি পাইপ দিয়ে বিদ্যুতের তার ঘরের উপর দিয়ে নিতো তাইলে এই মৃত্যু হতো না।

নিহতের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল বলেন, আগুন ধরে একটা তার ছিড়ে নিচে পড়ে গেছে, তারপরও ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়নি। তাহলে ট্রান্সফরমারে কাটআউট কেন লাগাবে, এটাতো মানুষের জীবন বাঁচাতে লাগানো হয়। আমার বাবা পল্লী বিদ্যুতের গাফেলতিতেই মারা গেছে।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সুশান্ত রায় বলেন, সঞ্চালন লাইনের খুব কাছেই বীরেন মণ্ডলের একটি সুপারি গাছ ছিল। গাছটি তারের উপর পরার ঝুঁকিতে ছিল, যার কারণে আমাদের কর্মীরা ওই গাছটি কেটে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বীরেন মণ্ডল ওই গাছ কাটতে না দিয়ে রশী দিয়ে বেঁধে রাখেন। 

তিনি আরও বলেন, শনিবার সকালে বৃষ্টি ও বাতাসে সেুপারি গাছ বাঁধা রশীটি ছিড়ে যায়। এতে গাছটি তারের উপর পরে এবং তার ছিড়ে মাটিতে পরে যায়। ওই তার ওঠাতে গিয়েই বীরেন মণ্ডল বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান। বীরেনকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্ত্রী মারা যায়।

এ ঘটনায় চিতলমারি জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ শহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ঘটনা করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মূল ঘটনা জানা যাবে বলে জানান মহাব্যবস্থাপক।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়নি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি