বিনিয়োগ আমানত সুরক্ষায় কঠোর অবস্থানে বিএসইসি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৬, ৩ আগস্ট ২০২৩
ব্রোকারেজ হাউজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের ঘাটতি সমন্বয় এবং অভিন্ন ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহার নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ইতোমধ্যেই ঘাটতিতে থাকা ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০২টি ৫৩৬ কোটি টাকা সমন্বয় করেছে। আরও ৬ প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করতে হবে ৪৯ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে অনিয়মে ছাড় না দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ক্রেস্ট, তামহা ও বানকো এই তিন ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের টাকা লোপাটের পর নড়েচড়ে বসে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। গত বছরের ২২ মার্চ ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সব ব্রোকারেজ হাউজ পরিদর্শনের নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। এসময় ১০৮ ব্রোকারেজ হাউজের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৫৮৫ কোটি টাকা ঘাটতি পায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসই।
ঘাটতি সমন্বয়ে চিঠি দেয়া হলে ১০২ প্রতিষ্ঠান প্রায় ৫৩৬ কোটি টাকা সমন্বয় করে। তবে এখনও সিনহা, ফারইস্ট, পিএফআই, এশিয়া, লতিফ এবং মডার্ন এই ছয় ব্রোকারেজ হাউজের গ্রাহক হিসাবে অন্তত ৪৯ কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। এটি সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ডিএসই।
ডিএসই ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, “বেশির ভাগ ব্রোকারেজ হাইজেরই এখন আর নেগেটিভ সিসিএ থাকার সুযোগ নাই। যে কয়েকজনের আছে তাদের ইন্টারন্যাল জটিলতায়। এটা ক্লোজ মনিটরিংয়ে আছে।”
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকির মধ্যে রাখলে অনিয়মের শঙ্কা কমে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন বলেন, “এখন এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে ক্লায়েন্ট টু ক্লায়েন্ট অ্যাডজাস্টমেন্ট দিতে হবে। তাতে আগে যে অবস্থাটা ছিল সেটা থেকে ভালো জায়গায় চলে এসেছে। এই জায়গায়গুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।”
ক্রেস্ট, তামহা ও বানকো তিন ব্রোকারেজ হাউজই বিনিয়োগকারীদের ধোকা দিতে একাধিক ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহার করেছিল। এজন্য গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি সমন্বয়ের পাশাপাশি প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউজ যাতে একটি মাত্র ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে, সেটিও নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, “সমস্ত ব্রোকারেজ হাউজকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে করতে হবে। তারপরও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে তথ্যের বিভ্রাট থেকে যেতে পারে। সেজন্য তদারকি বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
বিনিয়োগকারীদের আমানত সুরক্ষায় কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছে বিএসইসি।
এএইচ
আরও পড়ুন