বিমানবন্দরে চালু ই-গেট, ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ৬ জুলাই ২০২২ | আপডেট: ১৩:২৩, ৬ জুলাই ২০২২
শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে ই-পাসপোর্টধারীদের জন্য চালু হয়েছে ই-গেট। এতে তারা নিজেরাই সম্পন্ন করতে পারছেন ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। মাত্র ১৮ সেকেন্ডে ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট দিয়ে যেতে পারছেন পাসপোর্টধারীরা। তবে এমন পাসপোর্ট না থাকায় সবাই এই সুবিধা নিতে পারছেন না।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১ বছর আগে ই-গেট কাজের উদ্বোধন করা হয়। বিমানবন্দরের আগমনী ও বর্হিগমন গেটে ভেরিফিকেশন শেষে ই-গেট দিয়ে এখন যেতে পারছেন যাত্রীরা।
ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে যাত্রীরা সহজে ভেতরে প্রবেশ করছেন। তবে ই-গেট ব্যবহারে অভ্যস্ত না থাকায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। তবে তাদের সহযোগিতার জন্য সেখানে আছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
ই-গেট ব্যবহার করে যাত্রীরাও সন্তুষ্ট। জানান, ই-গেট স্থাপন হওয়ায় যাত্রীদের হয়রানি যেমন কমছে, তেমনি বাচঁবে সময়।
যাত্রীরা জানান, “আগে পাসপোর্ট চেক করতে অনেক সময় লাগতো, এখন পাসপোর্ট বসিয়ে দিলে মেশিনে সবকিছু স্ক্যান করে নিচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে আসতে পারলাম। আগে ইমিগ্রেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় যেতো। এখন ১ মিনিটও লাগছে না।”
যাত্রীরা আরও জানান, “আমরা খুব খুশি, বাংলাদেশ এটা চালু করতে পেরেছে।”
নির্বিঘ্নে এবং দ্রুততার সাথে তথ্য যাচাই করে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করাই ই-গেটের মূল উদ্দেশ্য বলছেন ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাদাত হোসাইন বলেন, “এই ই-গেটের মাধ্যমে মাত্র ১৮ সেকেন্ডে একজন যাত্রী পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন এবং অথেন্টিকেশন সম্পন্ন করতে পারছেন। যা ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অফিসার নির্ভূলভাবে একজন পাসপোর্টধারী যাত্রীর সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করতে পারছেন খুবই অল্প সময়ে।”
পর্যায়ক্রমে আরও ই-গেট সংযুক্ত করা হলে সেবার মান আরও বাড়বে বলে জানান ইমগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার।
বিশেষ পুলিশ সুপার ইমিগ্রেশন শাহরিয়ার আলম বলেন, “এই উপমহাদেশে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন হয়েছে। এই ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীদেরকে উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ই-গেট চালু করা হয়েছে।”
এছাড়া চট্টগ্রামের শাহ আমানত এবং সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানন্দরে ই-গেট চালু করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন