ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘বিমানের যাত্রীরা হাউমাউ করে কাঁদছিল’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০২, ১২ মার্চ ২০১৮

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের বিমানটি দুর্ঘটনার আগে হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। আর দুর্ঘটনা অনুমান করতে পেরেই বিমানে থাকা যাত্রীরা হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। বিমানের একটি জানালা ভেঙে লাফিয়ে পড়ে বেঁচে যাওয়া বসন্ত বহরা নামের ওই যাত্রী এসব কথা বলেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরের পর ইউএস বাংলার বিমানটি ৭১ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বসন্ত বহরা রোসেতা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস কোম্পানির চাকরিজীবী। দুর্ঘটনার সময় তিনি ওই বিমানে ছিলেন। বহরা বর্তমানে নেপালের তাপাথালিতে নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বসন্ত বহরা জানান, ওই বিমানটিতে বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানির ১৬ জন যাত্রী ছিলেন। তারা প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশে গিয়েছিলেন।

বহরা বলেন, ঢাকা থেকে বিমানটি ছাড়ার সময় কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে নামার আগমুহূর্তে হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দিতে থাকে। এতে যাত্রীরা হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। আমি জানালার পাশের ছিটে বসা ছিলাম। আমি জানালা ভেঙে বেরিয়ে আসি।

তিনি বলেন, আমি জানালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ার পর আর কিছু বলতে পারি না। কারা যেন আমাকে সিনেমঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আমার বন্ধুরা সেখান থেকে আমাকে নরভিক হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। তবে আমি ভাগ্যবান আমি বেঁচে আছি।  কাঠমান্ডু পোস্ট

আর / এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি