বিরল রোগে আক্রান্ত মাহামুদার জন্য সহযোগিতা চান তার বাবা
প্রকাশিত : ২১:২০, ৬ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:২২, ৮ আগস্ট ২০১৭
নয় বছরের শিশু মাহামুদা ভুগছে বিরল রোগে। সারা শরীরে দগদগে ঘা। ঘা’র তীব্রতার কারণে হাত ও পায়ের আঙ্গুলগুলো জমাট বেঁধে মিশে গেছে। মুখের ভেতরে ঘা থাকায় খেতে পারছে না ঠিকমত। মাহামুদা সবসময় হাত দিয়ে ঘা চুলকানোর চেষ্টা করে। আর চুলাকাতে চুলকাতে একসময় বেরিয়ে আসে রক্ত।
মাহামুদার জন্ম হয় শরীরে ঘা নিয়ে। তবে সেই ঘা সেরে ঊঠছে না। ক্রমাগত শরীরে ঘা বেড়েই চলেছে।
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের গাডাংপাড়ার আব্দুর রহিম ও শহিদা বেগমের দ্বিতীয় সন্তান মাহামুদা। আব্দুর রহিম পেশায় ভ্যান চালক। দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে মাহামুদার উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ ছিল মাহামুদার।
সম্প্রতি মাহামুদাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিয়টি নজরে আসে দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ড.মওলা বক্স চৌধুরীর। তিনি মাহামুদাকে দেখতে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ যান।
ওই সময় সিভিল সার্জন ড.মওলা বক্স চৌধুরী এবং বিরল উপজেলা নিবার্হী অফিসার এ বি এম রওশন কবির মাহামুদাকে সহযোগিতার পাশাপাশি ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার দুপুরে মাহামুদার বাবা-মা তাদের ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) ভর্তি করান। হাসপাতালের সি ব্লকের চর্ম ও যৌন বিভাগের ৩ নং ওয়ার্ড এর ৩২৭ নং কক্ষের ১ নং বেডটি এখন মাহামুদা ভর্তি রয়েছে। চর্ম বিভাগে অধ্যাপক ডা. লেঃ কর্ণেল (অব.) মো. আব্দুল ওয়াহাবের অধীনে সে চিকিৎসাধীন।
মাহামুদার বাবা আব্দুর রহিম জানান, শনিবার দুপুরে তাকে চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারা এসে পরীক্ষা করছে বলে তিনি জানান। এসময় মাহামুদার জন্য তিনি সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করেন।
মাহামুদার মা শহিদা বেগম বলেন, অনেক আশা নিয়ে ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় আসার মত টাকা আমার ছিল না। সবার সাহায্যের কারণেই আসতে পেরেছি। আমার বাচ্চাটাকে সুস্থ করেই বাড়িতে নিয়ে যেতে চাই।
কেউ সাহায্য করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন মাহামুদার বাবা আব্দুর রহিমের সাথে। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বার- ০১৭৫১৩০০১৭৮। এই নাম্বারেই বিকাশ করতে পারবেন। এছাড়া রকেট নাম্বার-০১৭৫১৩০০১৭৮০। ডাচ-বাংলা ব্যাংক, দিনাজপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ১৭২.১৫১.১৫২৩৯৬।