ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বিলাসিতা নয়, স্বর্ণ এখন বিনিয়োগের মাধ্যম (ভিডিও)

শাকেরা আরজু, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাঙালির গহনায় আধুনিকতার ছোঁয়া এসেছে। কমেছে স্বর্ণের ভারী গহনার ব্যবহার। উৎসব-পার্বনে এখন স্থান করে নিয়েছে নানান ধাতুর গহনা। দিন দিন স্বর্ণের মূল্য বাড়লেও সাধ্যমত কিনতে পিছিয়ে নেই ক্রেতারাও। স্বর্ণ হয়ে উঠেছে বিনিয়োগের মাধ্যম। 

অতীতে নারী-পুরুষ সবাই স্বর্ণের ব্যবহার করতেন। স্বর্ণের গহনা ছিল আভিজাত্যের প্রকাশ। নবাব আলীবর্দী খা কানে স্বর্ণের দুল পরতেন, হাতে পড়তেন আংটি। ঢাকার নবাব আব্দুল গনিও গহনা পড়তেন। বাংলার নারীরা তাদের কানে প্রস্তর খচিত সোনার কর্ণাভরণ, গলায় মালা, মণিবন্ধ ও বাজুতে সোনার গহনা পরতেন।  

উনিশ শতকের শেষ দিকেও অল্প হলেও পুরুষদের অলঙ্কার ব্যবহারের চল ছিল। তবে সেটা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে।

এরপর ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসে অলঙ্কারে। বাঙালি নারীরা এখন ইমিটিশনের অলঙ্কার থেকে শুরু করে প্লাস্টিক, কাঠ, মাটির অলঙ্কারে নিজেকে সাজান। ভারি অলঙ্কারে ‘স্মার্টনেস’ খুঁজে পান না আধুনিকারা। 

প্রকাশ্যে না পড়লেও বাড়িতে দাদী, নানী, মা, খালারা এখনও হালকা স্বর্ণের গহনা পড়েন। তবে বিয়ে, জন্মদিনসহ বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটু ভারী গহনা পরার চল এখনও আছে।

ব্যবহারকারীরা জানান, আমাদের পরিবারে যখন কান ফুটো করা হয় তখন প্রথমে স্বর্ণের রিং পড়িয়ে দেওয়া হয়।

দোকানীরা বলছেন, স্বর্ণালঙ্কার শুধু বিলাসিতার জন্যই নয়, স্বর্ণ এখন বিনিয়োগের মাধ্যম।  দাম বাড়া আর কমার মধ্যে ক্রেতারাও কম বেশি কিনছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগে কোনো এক বিয়ে উপলক্ষে ১০-১৫ ভরির ক্রেতা পেতাম। এখন সর্বোচ্চ ২ থেকে ৫ ভরির উপরে ক্রেতা পাওয়া যায় না।

বাজুজ সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমপার আগরওয়ালা বলেন, “যখন দাম বাড়ে তখন ক্রেতা সাধারণ কম কিনে থাকেন। যার কারণে প্রোডাকশন খরচ বেড়ে যায়।”

স্বর্ণের সঙ্গে বেদনা বিধুর অনেক কাহিনী জড়িত। জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ হয়েছে, অগণিত মানুষের প্রাণ ঝরেছে। স্বর্ণের মালিক হয়েও কেউ শান্তি পায়নি হারানোর ভয়ে। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি