বিশেষ কমিটি করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট
প্রকাশিত : ১১:৫০, ১৮ অক্টোবর ২০১৮
কর্মসূচি সমন্বয় করতে লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই কমিটির পাশাপাশি উচ্চপর্যায়ের একটি বিশেষ কমিটি করতে চায় তারা। তাই নীতি নির্ধারণ ও কর্মসূচি প্রণয়নে এই বিশেষ কমিটি গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বৈঠকে জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
জোটের অন্তর্ভুক্ত চারটি দলের নেতারাই মনে করেন, কৌশল ও জোটের নীতি নির্ধারণ করতে শীর্ষনেতাদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এ কমিটির সদস্যরা জোটের নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে আর তা বাস্তবায়নে লিয়াঁজো কমিটি কাজ করবে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, লিয়াঁজো কমিটি গঠন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিএনপি ও গণফোরাম তালিকা দিলেই লিয়াঁজো কমিটি গঠিত হবে। আগামীকাল শুক্রবার জোটের তৃতীয় বৈঠকে এ কমিটি চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মধ্যে একজন, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মনসুর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনসহ আরও কয়েকজন থাকতে পারেন। তবে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ড.কামাল হোসেনকে নিয়ে। তিনি এই কমিটিতে থাকতে অপারগতা জানিয়েছেন। কিন্তু অন্য শরিক দলগুলো এই প্রস্তাব মেনে নিতে চাইছেন না। তারা মনে করছেন, ড. কামাল হোসেনকেও উচ্চপর্যায়ের কমিটিতে রাখতে হবে। কারণ তাকে এখানে বেশি প্রয়োজন।
বৈঠক সূত্র আরও জানায়- চলতি মাসে সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে সমাবেশ করার পর দ্বিতীয় ধাপেই দেওয়া হবে রোডমার্চ। আগামী ২০ বা ২১ অক্টোবরের দিকে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করার চিন্তা করছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার বিকালেও জোটের নেতারা বসছেন ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে।
একে//
আরও পড়ুন