বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে শান্তিনিকেতন
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা-ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন।
গেলো ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে এ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বে এই প্রথমবার একটি সচল বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। পৃথিবীতে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে ধারাবাহিকভাবে সাংস্কৃতিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানের তালিকায় নিয়ে আসতে ২০১০ সালে উদ্যোগী হয়েছিলেন তৎকালীন ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব এবং পুরাতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক। তবে সেইসময় স্বীকৃতি মেলেনি।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরে অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র শান্তিনিকেতন। ১৮৬৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৫১ সালে একে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ঘোষণা করে ভারত। ১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ছেলে রথীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন, ‘পৃথিবীর সঙ্গে ভারতকে সংযুক্ত করার সূত্র হিসাবে শান্তিনিকেতন স্কুলকে গড়ে তুলতে হবে।’
এসবি/
আরও পড়ুন