বিশ্ব দরবারে শেখ রেহেনার দাবি পরিণত হয় গণদাবিতে
প্রকাশিত : ১১:১৭, ১০ মে ২০২৪ | আপডেট: ১১:২০, ১০ মে ২০২৪
১৯৭৯ সালের ১০ মে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহেনা বিশ্ববাসীর কাছে প্রথমবারের মতো পিতা হত্যার বিচারের দাবি তুলেছিলেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে তোলা সেই দাবিই পরিণত হয়েছিল গণদাবিতে।
ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের বেড়াজালে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছিলো। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে জাতির পিতা শেখ মুজিব হত্যার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর চাপা পড়ে গিয়েছিল স্বৈরশাসকের বন্দুকের মুখে।
১৯৭৯ সালের ১০ মে সুইডেনের স্টকহোমে বিশ্ব দরবারে প্রথমবারের মতো ওঠে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবি। সর্ব ইউরোপীয় বাকশালের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আর্দ্র ও উচ্চকন্ঠে পিতা হত্যার বিচার দাবি তোলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহেনা।
সর্ব ইউরোপিয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম বলেন, “সম্মেলনে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁর পাঠানো বাণী পাঠ করেন শেখ রেহানা। বড়বোন শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য রাখেন তিনি। এটাই ছিল কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে শেখ রেহানার প্রথম বক্তব্য। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তিনি সর্বপ্রথম ‘৭৫’র কলঙ্কজনক ও অমানবিক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি তুলেন।”
নির্বাসনে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তখন ভারতে শরণার্থীর মতো অসহায়। তাঁরই নির্দেশে ছোটবোন শেখ রেহানা প্রবাসে প্রথম উচ্চারণ করেন পিতৃহত্যার বিচার।
এম নজরুল ইসলাম বলেন, “শেখ রেহানার আবেগঘন বক্তব্য সেই অনুষ্ঠানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। হলভর্তি প্রবাসী বাঙালি নারী-পুরুষ এবং বিদেশি রাজনীতিবিদ, পার্লামেন্ট সদস্য ও সাংবাদিক পিনপতন নীরবতায় তাঁর বক্তব্য শুনেন। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে দুই বোন আবেদন জানিয়েছিলেন বিশ্ববিবেক ও বিশ্ব মানবতার কাছে।”
একক দাবিই একদিন গণদাবিতে পরিণত হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সেই দাবির ধারাবাহিকতায় বাতিল হয় কালো আইন ইনডেমনিটি। ২০১০ সালে খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকরে কলঙ্কমুক্ত হয় বাঙালি জাতি।
এএইচ