ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বকাপ টাইব্রেকার ইতিহাসে জার্মান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩০, ১ জুলাই ২০১৮

জার্মানি বিদায় নিলেও নক আউট-পর্বের শুরু থেকে ফাইনাল পর্যন্ত বিশ্বকাপে জার্মানির একটি অবদানকে স্মরণ করতেই হবে৷ যখনই ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে, তখনই মনে পড়বে জার্মানির কথা, শ্রদ্ধা জানাতেই হবে এই জার্মানকে৷

বিশ্বকাপে জার্মানি কখনো টাইব্রেকারে হারেনি৷ না, শুধু এ কারণে নয়, আরো বড় একটি কারণে ম্যাচের বন্ধ্যাত্ব ঘুচাতে যখনই টাইব্রেকারের প্রয়োজন দেখা দেবে, স্মরণে আসবেই জার্মানির অবদান৷ এই টাইব্রেকার যে ফুটবলকে জার্মানিরই দেয়া উপহার!

হ্যাঁ, ক্রিকেটে যেমন একসময় ৮, ৯ এমনকি ১০ দিন শেষেও ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হতো না, ফুটবলেও ছিল সেই সমস্যা৷ এমনও হয়েছে কোনো আসরের ফাইনাল ৯০ মিনিটে ফলাফল আসেনি, অতিরিক্ত সময় শেষে, অর্থাৎ ১২০ মিনিটেও খেলা ড্র৷ কী করা যায়? ঠিক হলো, আরেকদিন হবে ফাইনাল৷ হলো৷ সেদিনও একই অবস্থা৷ ১২০ মিনিট শেষেও ড্র৷ সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত হলো, টস হবে৷ টসে যে জিতবে সে-ই চ্যাম্পিয়ন!

কিন্তু জার্মান রেফারি কার্ল ভাল্ড-এর বিষয়টি মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিল৷ একটি দল ফুটবলীয় দক্ষতায় চুল পরিমাণ পিছিয়ে না থেকেও স্রেফ লটারির দুর্ভাগ্যে হার স্বীকারে বাধ্য হবে– এ কেমন কথা! তাঁর মাথায়ই প্রথম এসেছিল পেনাল্টি শুট আউট, অর্থাৎ টাইব্রেকারের মাধ্যমে জয়-পরাজয় নির্ধারণের বুদ্ধি৷ তাই ৪৮ বছর আগে ফ্রাঙ্কফুর্টের রেফারি ভাল্ড প্রস্তাবটি রেখেছিলেন বাভারিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে৷ অনেক চিন্তা-ভাবনার পর অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা প্রস্তাবটিতে অনুমোদন দেন৷তারপর জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)-র অনুমোদন পেতেও সময় লাগেনি৷

আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম টাইব্রেকার দেখা যায় ১৯৭৬ সালে৷ সে বছরই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে চেকোস্লোভাকিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি (তখন পশ্চিম জার্মানি)৷ টাইব্রেকারে জিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চেকোস্লোভাকিয়া৷

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি