ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বকাপের পাঁচটি বড় অঘটন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২০, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

রোববার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে পরাজিত করে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনের জন্ম দিয়েছে আফগানিস্তান। 

বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ পর্যন্ত পাঁচটি বড় অঘটন :

জিম্বাবুয়ের কাছে অস্ট্রেলিয়া ১৩ রানে পরাজিত, নটিংহ্যাম, ৯ জুন ১৯৮৩ :

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ^কাপ খেলতে নেমে ট্রেন্ট ব্রীজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।  এ্যালান বোর্ডার, ডেনিস লিলি, জেফ থমসনদের মত খেলোয়াড়রাও অস্ট্রেলিয়ার পরাজয় ঠেকাতে পারেননি। 
প্রথমে ব্যাটিং করে ডানকান ফ্লেচারের অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৬০ ওভারে ( সে সময়ে ৬০ ওভারের ম্যাচ হতো)৬ উইকেটে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছিল জিম্বাবুয়ে। কেপলার ওয়েসেলস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। অসিরা বিনা উইকেটে ৬১ রান করেছিল।  কিন্তু ফ্লেচারের বোলিং তোপে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ধ্বস নামে।   ফ্লেচার ৪২ রানে শিকার  করেছিলেন  ৪ উইকেট।

ভারতের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৩ রানে পরাজিত, লর্ডস, ২৫ জুন ১৯৮৩ :

দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯৮৩’র ফাইনালে পরাজিত করে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। নিজেদের নয় বছরে ওয়ানডে দল হিসেবে ভারতের এটি ছিল ১৭তম জয়। 
ক্রিস শ্রীকান্তের সর্বোচ্চ ৩৮ রানে ভর করে ভারত মাত্র ১৮৩ রান সংগ্রহ করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমনে এন্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল ভারতকে কোন ছাড় দেয়নি।  কিন্তু তারকা সমৃদ্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন-আপকে গুড়িয়ে দিয়েছেন মহিন্দার অমরনাথ (৩-১২) ও মদন লাল (৩-৩১)। ক্যারিবীয় ব্যাটার ভিভ রিচার্ডস সর্বোচ্চ ৩৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। 

কেনিয়ার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৩ রানে পরাজিত, পুনে, ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ :

গ্রুপ পর্বের ম্যাচে কোর্টনি ওয়ালশ ও রজার হার্পারের ৩টি করে উইকেট শিকারে  কেনিয়া ১৬৬ রানে অল আউট হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাচের নাটকীয়তা তখনো বাকি ছিল। এই ম্যাচও যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যাবে তা কেউই কল্পনাও করেনি। মাত্র ৮ রানে ক্যারিবীয় লিজেন্ড ব্রায়ান লারাকে সাজঘরে পাঠিয়ে কেনিয়ার ওপেনিং বোলার রজব আলি নতুন করে আশা জাগিয়ে তুলেন। মাত্র ৯৩ রানে ওয়েস্ট ইনিংস গুটিয়ে গেলে স্মরণীয় এক জয় নিশ্চিত করে কেনিয়া। শুধুমাত্র হার্পার ও শিবনারায়ন চন্দরপল দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পেরেছিলেন। মারকুই ওদুম্বে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন।  

বৃষ্টি আইনে আয়ারল্যান্ডের   কাছে পাকিস্তান  ৩ উইকেটে পরাজিত, কিংস্টন, ১৭ মার্চ ২০০৭ :

জ্যামাইকায় দারুন এই জয়ের মাধ্যমে ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে ফেবারিট পাকিস্তানকে বিদায় করে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। আইরিশ আক্রমনের সামনে এশিয়ান জায়ান্টদের ইনিংস ১৩২ রানে শেষ হয়ে যায়। পেসার বয়েড র‌্যাঙ্কিন ৩ উইকেট দখল করেন। আয়ারল্যান্ডও তাদের ইনিংসের শুরুটা ভাল করতে পারেনি। মিডল অর্ডারে কেভিন ও’ব্রায়ান ও ট্রেন্ট জনস্টোন শেষ পর্যন্ত আইরিশদের হতাশ করেননি। 

আয়ারল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ড ৩ উইকেটে পরাজিত, ব্যাঙ্গালুরু, ২ মার্চ ২০১১ :

৮ উইকেটে ইংল্যান্ড ৩২৭ রানের পাহাড় সমান ইনিংস গড়ে তুলেও জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। জোনাথন ট্রট ৯২ ও ইয়ান বেল করেছিলেন ৮১ রান। আইরিশ অল রাউন্ডার জন মুনি নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। 
জবাবে অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড কোন রান করার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। তবে মাত্র ৫০ বলে ১৩ বাউন্ডারি ও ৬ ওভার বাউন্ডারিতে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করে কেভিন ও’ব্রায়ান নিজের যোগ্যতার প্রমান দেন। ও’ব্রায়ানের আউটের পর মুনির অপরাজিত ৩৩ রানে ভর করে পাঁচ বল বাকি থাকতে দুর্দান্ত জয় নিশ্চিত করে আয়ারল্যান্ড। 

সূত্র: বাসস

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি