ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বকাপের বিতর্কিত ঘটনাবলী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১১, ১৩ জুন ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৩৬, ১৩ জুন ২০১৮

বিশ্বকাপের ইতিহাস ঘাঁটলে উঠে আসে নানান অপ্রিয় সব ঘটনা, অবিশ্বাস্য কিছু মুহূর্ত। যা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। যে বিতর্কের রেশ রয়ে গিয়েছে আজও।

শুমাখার-বাতিস্তু সংঘর্ষ, ১৯৮২

১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফ্রান্স বনাম জার্মানি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন ফ্রান্সের বাতিস্ত। বক্সের মধ্যে বল ধরতে গিয়ে সংঘর্ষ হয় জার্মান গোলকিপার শুমাখারের সঙ্গে। এরপর মাঠে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকেন বাতিস্ত। আশ্চর্যজনকভাবে রেফারি শুমাখারের বিরুদ্ধে কোনও ফাউল দেননি।

রুডি ফোলারকে থুতু ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের, ১৯৯০

১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে জার্মানি বনাম নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে হঠাত্ই ফোলারকে কড়া ট্যাকল করে তাঁর গায়ে থুতু দেন ডাচ ডিফেন্ডার রাইকার্ড।এই ঘটনা রেফারিকে জানাতে গিয়ে উল্টে হলুদ কার্ড দেখেন ফোলার। কড়া ট্যাকেলের জন্য অবশ্য আগেইন হলুদ কার্ড দেখেছিলেন রাইকার্ড। এক মিনিট পরই দু`জনের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। এবার দু`জনকেই লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি।

মারাদোনার ডোপ কেলেঙ্কারি, ১৯৯৪

১৯৯৪ সালে মার্কিন মুলুকে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েন আর্জেন্টিনার দিয়েগো মারাদোনা। যা বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম কেলেঙ্কারি বলে ধরা হয়। মারাদোনা বলেন, ওরা আমার পা থেকে ফুটবলটাই কেড়ে নিল।

রোনাল্ডোর ফাইনাল রহস্য, ১৯৯৮

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং ব্রাজিল। প্রথমে ফাইনালের টিম লিস্টে নাম ছিল না রোনাল্ডোর। জানা যায়, পরে স্পনসরদের চাপে তাঁর নাম ঢোকানো হয়। এই কারনেই না কি ফাইনালের আগে ওয়ার্মআপে আসেনি ব্রাজিল দল। ফাইনালে শেষপর্যন্ত ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে হারে ব্রাজিল। রোনাল্ডো সেই ম্যাচে কিছুই করতে পারেননি। পরে রোনাল্ডো নিজেই জানান, তাঁর কনভালশন হয়েছিল। ৩ থেকে ৪ মিনিট জ্ঞান হারিয়েছিল। তিনি নিজেও জানেন না ঠিক কী হয়েছিল।

২০টি কার্ড দেখিয়ে ভিলেন রেফারি ইভানভ, ২০০৬


২০০৬ সালে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস বনাম পর্তুগাল ম্যাচটি `ব্যাটল অফ ন্যুরেমবার্গ` নামে পরিচিতি পেয়েছে। এই ম্যাচে ১৬টি হলুদ কার্ড ও চারটি লাল কার্ড দেখান রেফারি ভ্যালেন্টিন ইভানভ। গোটা ম্যাচের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যার তীব্র সমালোচনা করে তৎকালীন ফিফা সভাপতি শেপ ব্লাটার। তিনি বলেন, রেফারিকেই হলুদ কার্ড দেখানো উচিত ছিল।

মাতেরেজ্জিকে জিদানের ঢুঁসো, ২০০৬

২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং ইতালি। ম্যাচের মাঝে মুহূর্তটি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। পরে রিপ্লেতে ধরা পড়ে যে, জিদান ও মাতেরেজ্জির মধ্যে কথা কাটাকাটি হওয়ার পর জিদান হঠাত্ মাথা দিয়ে ঢুঁসো মারে মাতেরেজ্জির বুকে। স্বাভাবিকভাবেই রেফারি লাল কার্ড দেখান জিদানকে। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে করুণ পরিনতি ফরাসি কিংবদন্তির।

কিয়েল্লিনিকে সুয়ারেজের কামড়, ২০১৪

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইতালি বনাম উরুগুয়ে ম্যাচের তখন বাকি আর ১০ মিনিট। হঠাত্ দেখা যায় সুয়ারেজকে আটকাতে ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনি তাঁর জার্সি টেনে ধরেন। আর তখনই সুয়ারেজ নাকি কামড়ে দেন কিয়েল্লিনির কাঁধে। যদিও মাঠে তা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। কিয়েল্লিনি জার্সি খুলে রেফারিকে দেখানোর চেষ্টা করেন যে সুয়ারেজ তাঁকে কামড়েছে। পরে অবশ্য এই ঘটনার জন্য বড়সড় শাস্তি পান লুই সুয়ারেজ। 

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি