বিশ্বকাপের ৩ আসরের উল্লেখযোগ্য কিছু খবর
প্রকাশিত : ১২:১৭, ৩ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১১:৪২, ১৩ জুন ২০১৮
ফিফা বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু ১৯৩০ সালে। মাত্র ১৩ দল নিয়ে ১৮ দিনের সেই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিকরাই। ফাইনালে প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনাকে হারায় উরুগুয়ে। এরপর ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালে টানা দুইবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইতালি।
ইতিহাসের প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়েতে। ইউরোপের বেশিরভাগ দলেরই এই বিশ্বকাপে অংশ নিতে আগ্রহী ছিলনা। রাজধানী মন্টেভিডিও শহরের ৩ ভেন্যুতেই হয়েছিলো পুরো ১৮ দিনের আসর। অংশ নিয়েছিলো দক্ষিণ আমেরিকার ৭, ইউরোপের ৪ এবং উত্তর আমেরিকার ২ দল। ফাইনালে লাতিন আমেরিকার আরেক দল আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ঘরের মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। ৮ গোল নিয়ে ঐ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন আর্জেন্টিনার গিলের্মো স্তাবিলা। ৪ বছর পরপর বিশ্ব আসর ভক্তদের যে শিহরণ উপহার দেয়, তার শুরুটা হয়েছিলো ১৯৩০`এ।
প্রথম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে চাম্পিয়ন দেশের পরের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করার ঘটনা এই একটিই। ১৬টি দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেই ফিফা। ইতালির মোট ৮টি ভেন্যু ব্যবহার করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বকাপে। ফাইনালে ২-১ গোলে চেকোস্লোভাকিয়াকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপায় চুমু খায় আজ্জুরিরা। সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন চেক ফুটবলার অলডিচ নেজলি।
ফিফা বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর বসেছিলো ফ্রান্সে। ১৯৩৮ সালের এই আসরটি বেশ ঘটনা বহুল। নানা জটিলতায় এই আসরে খেলেনি আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও স্পেন। তাই অংশ নিয়েছিলো ১৫টি দেশ। টানা দ্বিতীয় বারের মতো স্বপ্নিল বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলো ইতালি। ১৬ দিনের এই ফুটবলে মহরণে মোট ১৮টি ম্যাচ আয়োজিত হয় ফ্রান্সের ১০টি ভেন্যুতে। আসরে সর্বোচ্চ ৭টি গোল করে সেরা গোলদাতার পুরস্কার জিতে নেনে স্বাম্বার দেশের স্ট্রাইকার লিওনিদেশ। ফাইনালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৪-২ গোলে দারুন জয় পায় আজ্জুরিরা। ইতিহাস রচনা করে টানা দ্বিতীয় বারের মতো স্বপ্নিল র্স্বনালী বিশ্বকাপ ট্রফিতে চুম্বন দেয় ইতালি। এরপর একযুগ দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে বিশ্বকাপ ফুটবল আর মাঠে গড়াই নি।