বিশ্বের একমাত্র ‘জীবন্ত হেরিটেজ’: বয়স ১১৮
প্রকাশিত : ১২:৩৪, ২৯ আগস্ট ২০১৮
বলিভিয়ার এই নারীকেই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে।
তাঁর বয়স ১১৮ বছর৷ ক্ষয়িষ্ণু শরীর৷ তাও যৌবনের অভ্যাসকে এখনও ভোলেননি জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউ৷ দুর্বল কণ্ঠে, ভাঙা ভাঙা গলায় এখনও গুনগুন করে গান ধরেন। বাজান তাঁর অতিপ্রিয় গিটারটিও৷
বলিভিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম সাকাবার বাসিন্দা এই নারীকেই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে মনে করা হচ্ছে৷ নিজ চোখে দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকে। যদিও তাঁর নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তোলার জন্য এখনও কোনও প্রস্তাব জমা পরেনি৷
গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী এক সময় বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ ছিলেন জাপানের নাবি তাজিমা৷ ১৯০০-এর ৪ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ তবে চলতি বছরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ ফলে জুলিয়া ফ্লোরস কোলকিউকেই এখন বিশ্বের জীবন্ত সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বলে দাবি করা হচ্ছে৷
এই নারীকে বিশ্বের একমাত্র ‘জীবন্ত হেরিটেজ’বলে আখ্যা দিয়েছেন সাকাবার মেয়র৷ জানা গেছে সরকারি উদ্যোগে নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তাঁর জীর্ণ বাড়ি৷
জুলিয়ার ভোটার কার্ড বলছে, ১৯০০-এর ২৬ অক্টোবর বলিভিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ নিজের চোখে দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতাকে৷ জানান, সেই সময় কত কষ্টের মধ্য দিয়ে কেটেছে জীবন৷
নিজের জন্মস্থান ছেড়ে সাকাবা গ্রামে চলে আসতে হয়েছে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে৷ ওই গ্রামেই একটি ফলের দোকান ছিল তাঁর পরিবারের৷ পরে নিজেও সেখানেই কাজ করতে শুরু করেন৷ বিয়ে করেননি ফলে পিছুটানহীন এই শতায়ু মহিলা এখন সময় কাটান পোষ্যদের সঙ্গে৷
দিনের বেশিরভাগ সময়টা তাঁদের আদর করেই কেটে যায় তাঁর৷ শতবর্ষ অতিক্রম করে এখনও মনের যৌবনকে ধরে রেখেছেন জুলিয়া ফ্লোরস৷ এর রহস্যটা কী?
জানতে চাওয়া হলে নিজেই জানালেন, পাড়াতুতো নাতনি অগাস্টিন বেরনার হাতে তৈরি কেক ও সোডা৷ দিনের বেশিরভাগ সময়ে এটাই তাঁর খাদ্য৷
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
/ এআর /