বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রিনহাউস
প্রকাশিত : ১৫:৪২, ৩ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১০, ১০ জুন ২০১৮
শীতপ্রধান দেশগুলোর জলবায়ু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছপালা বিশেষ করে শাকসবজি, ফুল ও ফলের জন্য উপযোগী নয়। ধীরে ধীরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য গ্রিনহাউস প্রক্রিয়া চালু করা হয়। আর এই লক্ষ্যে লন্ডনের কিউ গার্ডেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নাতিশীতোষ্ণ ঘর তৈরি করেছে যাতে বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি গাছ রয়েছে।
এটি ৫ বছর ধরে সংস্কারের পর সম্প্রতি আবারও সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রজাতির ১০ হাজারেরও বেশি গাছ নিয়ে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাচের তৈরি বাগান বলে পরিচিতি লাভ করেছে। ৪১ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করা হয় এ কাচঘরটি সংস্কারে।
পৃথিবীর বিরল প্রজাতি ও বিলুপ্তির পথে থাকা গাছগুলো এ আবদ্ধ ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।
বিশাল আকৃতির এই কাচঘরটি প্রথম খোলা হয় ১৮৬৩ সালে। পরে ২০১৩ সাল থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
বন্ধু-পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য শিশু থেকে বুড়ো সব বয়সী মানুষের জন্য উদ্যানটি খুবই মনোমুগ্ধকর। পাশাপাশি গবেষণার এক অনবদ্য স্থানও এই ভিক্টোরিয়ান কাচঘর।
বিচিত্র উদ্যানটিতে ৫ হাজার ২৭০ লিটার রং ব্যবহার করা হয় সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যা দিয়ে প্রায় চারটি ফুটবল খেলার মাঠ রং করা যায় অনায়াসে।
এটির সংস্কারের কাজে ব্যবহৃত কাঠের ভারা বা তক্তা যদি খুলে খুলে সাজিয়ে রাখা হয় তবে তার দৈর্ঘ্য হবে ১৮০ কিলোমিটার। কাচের বাগানটিতে ৪০০ নিজস্ব ও ভাড়া নির্মাণকর্মী প্রকল্পটির কাজ শেষ করে ১ হাজার ৭৩১ দিনে।
লন্ডন ভ্রমণে গেলে অনলাইনে টিকিট বুকিং নিয়ে ঘুরতে পারেন অপার সৌন্দর্যের কিউ গার্ডেন।
এখানে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকাসহ দক্ষিণ আফ্রিকার গভীর বনের বিশেষ বিশেষ জাতের উদ্ভিদ রয়েছে। এগুলো দর্শনার্থীদের বেশ নজর কাড়ে। এই কিউ গার্ডেনে এটি পৃথিবীর বিস্ময়কর সবচেয়ে বড় কাচঘর। এখানে বিরল প্রজাতির গাছপালা সবাইকে বিস্মিত করবে।
উদ্যান, বিজ্ঞান ও নকশাসহ সব কিছু মিলিয়ে এটি পৃথিবীতে একেবারে আলাদা একটি বৈশিষ্ট্যের বলে মনে করেন লন্ডনের কিউ গার্ডেনের উদ্যানবিষয়ক পরিচালক রিচার্ড বার্লি।
সূত্র : এনডিটিভি।
/ এআর /