বিসিএস শিক্ষকদের দুদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা
প্রকাশিত : ১৫:৫২, ২৪ নভেম্বর ২০১৭
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছাড়া বেসরকারি কলেজগুলোর জাতীয়করণ বন্ধসহ তিন দফা দাবি মেনে না নিলে আগামী ২৬ থেকে ২৭ নভেম্বর (সোম-মঙ্গলবার) সারাদেশে সরকারি কলেজেগুলোতে দুই দিনের পূর্ণ কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। শুক্রবার ‘নো বিসিএস, নো ক্যাডার’ এই দাবিতে দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত মহাসমাবেশে সংগঠনের সহাসচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
একইসঙ্গে আগামীতে স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়ন না করে নতুন কোন কলেজকে জাতীয়কারণ করা হলে ওই দিন থেকেই সারাদেশের সরকারি কলেজগুলো অনিদিষ্টকালের জন্য পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করবে। মহাসমাবেশে দেশের বিভিন্ন এলাকার সরকারি কলেজের বিসিএস ক্যাডারভুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক অংশ নেন। তিনি বলেন, সামনে ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস হিসেবে এ মাসে কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। তবে যদি আমাদের দাবি না মানা হয় তাহলে আগামী জানুয়ারি মাসের ৬, ৭, ৮ তারিখে আবার পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হবে।
মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়ে ব্ক্তারা আরও বলেন, আমাদের যে সময় ক্লাসে থাকার কথা ছিল, সে সময় আমরা রাজপথে এসেছি । আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের ন্যয্য দাবি আদায়ে এখানে সমাবেত হয়েছি। আশা করি সরকার আমাদের দাবি পূরণ করবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিসিএস পরীক্ষা না দিয়ে যদি অযোগ্যদের ক্যাডার দেওয়া হয়। তহলে শিক্ষার মান ব্যাহত হবে। শিক্ষার্থীরা মানসস্মাত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। আমাদের দাবির বিরুদ্ধে যদি কোন প্রস্তাব আসে সেদিন থেকে সারাদেশে কলেজে তালা ঝুলাতে বাধ্য হবো।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমাদের মাথার ওপরে কোনো মাথামোটা লোককে বসতে দিবো না। আমরা বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে ক্যাডার হয়েছি। এটা আমাদের একটা অনুভুতির ব্যাপার। শুধু একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে মাথামোটা শিক্ষকদের ক্যাডারের মর্যাদা দেওয়া জাতির জন্য লজ্জাজনক। তাই আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
দাবিসমুহ হলো- শিক্ষা ক্যাডার আত্তীকরণ বন্ধে নতুন কোনো কলেজ জাতীয়করণ আদেশের আগেই ২০০০ বিধিসহ ক্যাডারে আত্তীকরণ সংক্রান্ত সব বিধি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এবং বিসিএস নিয়োগ বিধি ১৯৮১ এর কোনো ধরনের ব্যত্যয় না ঘটিয়ে জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত কলেজ শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভুত রেখে তাদের নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতি সংক্রান্ত আলাদা বিধিমালা প্রণয়ন করা, “জাতীয় শিক্ষানীতি’ ২০১০” জাতীয় সংসদে অনুমোদনের পর বিধিমালা প্রণয়ন ছাড়াই যে সব কলেজ জাতীয়করণ করা হয়েছে সেব কলেজের শিক্ষকদেরকেও ক্যাডার বহির্ভূত রাখা, এবং “জাতীয়করণের পর সংশ্লিষ্ট কলেজ শিক্ষকদের নিজ প্রতিষ্ঠানেই রাখা, অন্যত্র বদলী হতে পারবেন না” মর্মে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রদান করার পরও সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের যে সব শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে তাদের বদলি আদেশ বাতিল করা।
অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম সচিব আবুল বাহার চৌধুরী, সচিব নজরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সচিব অধ্যাপক আমির হোসেন, প্রচার সচিব কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এসএইচ/
আরও পড়ুন