বিসিক ভবনে ৫ দিনব্যাপী হেমন্ত মেলা ও কারুশিল্প প্রদর্শনী শুরু
প্রকাশিত : ২১:৪৯, ৫ নভেম্বর ২০১৭
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর উদ্যোগে মতিঝিলস্থ বিসিক ভবনে আজ রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে ৫ দিনব্যাপী হেমন্ত মেলা ও কারুশিল্প প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বিসিক চেয়ারম্যান জনাব মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত মেলা ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিকের পরিচালক (নকশা ও বিপণন) মো. রেজাউল করিম।
এতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান নকশাবিদ বেগম মনোয়ারা খাতুন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও মেলায় অংশগ্রহণকারী কারুশিল্পীগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, কুটির ও হস্তশিল্প খাতের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য মেলায় ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী আকর্ষণীয় নতুন নতুন ও মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে বিসিক থেকে কারুশিল্পীদের সম্ভাব্য সকল প্রকার সেবা-সহায়তা প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্রেতা সাধারণের নিকট পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে কারুশিল্পরা আত্ম-বিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। নতুন ডিজাইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণার্থীগণকে অবগত করার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে নকশা কেন্দ্রকে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করার জন্য নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য যে, বিসিক দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের উন্নয়নে দীর্ঘদিন যাবৎ উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা-সহায়তা প্রদান করে আসছে। উক্ত খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটিয়ে উৎপাদন ও আয়বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই বিসিকের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে বিসিক কর্তৃক অন্যান্য কাজের পাশাপাশি নকশা কেন্দ্রের মাধ্যমে ব্লক, বাটিক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, পুতুল তৈরি, মৃৎ শল্পি,প্যাকেজিং, বাঁশ-বেতের কাজ, পাটজাত হস্তশিল্প, চামড়াজাত পণ্য, ধাতব শিল্প, বুনন শিল্প ও ফ্যাশন ডিজাইন ইত্যাদি ১৩টি ট্রেডে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৩৮ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
তাছাড়া এ যাবৎ নকশা উদ্ভাবন ও নমুনাকরণ ৩৩ হাজার ১৮৪টি, মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে ১৭৩টি, শ্রেষ্ঠ ও দক্ষ কারুশিল্পী পুরস্কার প্রদান ২৭৫ জনকে এবং ত্রৈমাসিক মেলার আয়োজন করা হয়েছে ৫৯টি।
বিসিকের নকশা কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর পরিচিতি ও বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে তাদেরকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন ধরণের পোশাক, নকশীকাঁথা, তাঁতের ও জামদানি শাড়ি, পাটজাত হস্তশিল্প, আধুনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত মধু, খাদ্যজাত সামগ্রীসহ হস্ত ও কুটির শিল্পজাত পণ্যের বিপুল সমারোহ ঘটেছে। মেলা উপলক্ষে জয়নুল আবেদিন প্রদর্শনকক্ষে কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী নিয়ে চলছে কারুশিল্প প্রদশর্নী।
মেলায় বিভিন্ন ধরণের হস্ত ও কুটির শিল্পপণ্যের ৫০টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলা চলবে আগামী ০৯ নভেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
কেআই/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন