বিস্কুট খেয়ে দুই বোনের মৃত্যু, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১১:৩০, ১১ জুলাই ২০২৪
নওগাঁ সদর উপজেলার দোগাছী স্কুলপাড়া গ্রামে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুট খেয়ে খাদিজা (৬) ও তাবসসুম (৮ মাস) মাস বয়সের সহোদর ২ বোনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত মুদি দোকানি কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার নিহত শিশুর পিতা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই গ্রামের মুদি দোকানি মোঃ কামরুজ্জামানকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় পুলিশ মুদি দোকানি কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ মুদি দোকানের সমস্ত মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুট জব্দ করেছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক জানান, ওই গ্রামের জহুরুলের শিশু দুই কন্যা খাদিজা ও তাবাসসুম এবং একই গ্রামের পাইলট ছেলে মইন ইসলাম (১৫) মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের কামরুজ্জামানের মুদি দোকান থেকে বিস্কুট কিনে খায়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা লাগাতার বমি করতে থাকে। অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক ৮ মাস বয়সী তাবাসসুমকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাদিজা ও মঈনকে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন সন্ধ্যার কিছু আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রামেকে নেওয়ার পথে খাদিজার মৃত্যু হয়।
নিহতদের চাচা শাহাজান আলী ও গ্রামবাসীরা জানান, মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুট খাওয়ার কারণেই ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে মুদি দোকানী কামরুজ্জামান বলেন, আমি বিস্কুটগুলো পাশের শান্তাহার শহরের ডিলারের নিকট থেকে কিনেছি। এগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ কিনা তা আমি সঠিকভাবে বলতে পারব না।
এদিকে, নওগাঁ সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আনসার আলী বলেন, অতিরিক্ত বমি ও পানিশূন্যতার কারণে ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুটের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ভিসারা রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, ঘটনা জানার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এই ঘটনায় নিহতদের পিতা জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই মুদি দোকানীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মোদি দোকানী কামরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর ওই গ্রামে বইছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
এএইচ
আরও পড়ুন