ঢাকা, বুধবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বিয়ের আসল সুখ আসে ২০ বছর পরে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

অনেকেরই ধারণা যে, বিয়ের পরবর্তী কয়েক বছর দাম্পত্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। ব্যাপক উত্তেজনাকর এই সময়টা বেশ রোমাঞ্চকরও বটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ের এক সমীক্ষা বলছে যে, বিয়ের পর দাম্পত্য জীবনের আসল সুখ পাওয়া যায় অন্তত ২০ বছর পরে।

গবেষকেরা বলছেন, জীবনের অন্য অনেক কিছুর মতোই বৈবাহিক জীবনের সুখ সময়ের সাথে সাথে জীবনে আসতে থাকে। পেনসিলভানিয়া স্টেট অ্যান্ড ব্রিজহ্যাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বৈবাহিক জীবন শুরু হওয়ার অনেক বছর পর এর প্রকৃত সার্থকতা ধরা দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক দল বিশ বছর মেয়াদী এক দীর্ঘ গবেষণা পরিচালনা করেন। এতে দুই হাজার ৩৪ জন বিবাহিত নারী ও পুরুষ অংশ নেন। এই সময়ে বিবাহিতদের বৈবাহিক জীবনের ভালো ও মন্দ সময়গুলো গবেষণায় বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও বৈবাহিক সম্পর্কে থাকা ব্যক্তিদের নিজেদের মধ্যে এমনকি আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেকার আচার আচরণ যেমন বন্ধুমহলের সাথে ডিনার খাওয়া অথবা শিশুদের বড় করা এমনকি শপিং করার মতো বিষয়গুলোও গবেষণার বিষয়বস্তু ছিলো।

দীর্ঘ গবেষণার পর গবেষকেরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, যারা বৈবাহিক জীবনে ধৈর্য্যশীল এবং নিজেদের সম্পর্কের সার্থকরার জন্য অপেক্ষা করেন তারাই প্রকৃত সুখের দেখা পান। বৈবাহিক জীবনের ২০ বছর সময় অতিক্রম করার পরের সময়গুলোই দাম্পত্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।

এছাড়াও গবেষণায় আরও বলা হয় যে, যেসব দম্পতির বিবাহ শেষ পর্যন্ত বিবাহ বিচ্ছেদে পরিণত হয়েছে তাদের মধ্যে দাম্পত্য সমস্যা যত বেশী তত কম নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট বিষয় শেয়ার করে নেওয়ার প্রবণতা। অন্যদিকে এসব সমস্যা কাটিয়ে যারা চলতে পেরেছেন তাদের বৈবাহিক সম্পর্কই শেষ পর্যন্ত সফল হয়।

এমন ফলাফলের কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয় যে, যেসব দম্পতি বেশি সময় একসাথে থাকে তারা নিজেদের বৈবাহিক জীবনের চড়াই উতরাইগুলো একসাথে মোকাবেলা করেন। নিজেদের মধ্যে বোঝাপরা এবং দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায় এতে। শুরুতে হয়তো কিছুটা সমস্যা হলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরের মতামতকে তারা গ্রহণ করতে শেখে।

সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

//এস এইচ এস//

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি