ঢাকা, বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪

বীর প্রতীক তারামন বিবিকে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৩, ৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২১:২৭, ৪ আগস্ট ২০১৭

শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় বীরপ্রতীক তারামন বিবিকে রংপুর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতলে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল। আজ শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সহায়তায় দুপুর ১২টায় রংপুর  সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

বীর প্রতীক তারামন বিবির বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার কাচারিপাড়ার শংকর মাধবপুর গ্রামে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ বলেন, আমরা তারামন বিবির পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তার সুচিকিৎসার সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুপুরে তাকে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়। বিকালে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে হঠাৎ তারামন বিবির শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের বলেন, উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামে পরিবারের সঙ্গে থাকেন তারামন বিবি। রাজীবপুর হাসপাতালের চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন বাড়িতে এসে চিকিৎসা দিয়ে যেতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রংপুরে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খানের সহযোগিতায় আজ তাঁকে রংপুর সিএমএইচে নেওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ১ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে।

অন্যের সহযোগিতা ছাড়া তারামন বিবি কিছুই করতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাউজুল কবীর বলেন, তারামন বিবির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলা প্রশাসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে তারামন বিবি খুব নিচু স্বরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শরীর খুব খারাপ। গলা বইসা গেছে। চলতে পারি না। নিশ্বাস বন্ধ হইয়া আসে। দোয়া করতে বইলো।’

কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে ১১ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার আবু তাহেরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারামন বিবি। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্তানিদের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে সম্মুখ যুদ্ধেও তিনি অংশ নিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তারামনকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়। কিন্তু এই মুক্তিযোদ্ধাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয় ১৯৯৫ সালে।

ওইবছর ১৯ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে তারামন বিবির হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি