বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুমানের উন্নতি
প্রকাশিত : ১০:৩৮, ১৭ জুন ২০২৩
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগতে থাকা মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে বাতাসের মান কিছুটা উন্নতি হয়। শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে রাজধানীতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও শীতল আবহাওয়ার কারণে শনিবার (১৭ জুন) ঢাকার বাতাসের দূষণমাত্রা মাঝারি বা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
এদিন সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৯৫, দূষণের দিক থেকে যা মধ্যম মানের। বায়ুমানের তালিকায় ১৩তম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী।
এ সময় বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৬৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ। একই সময় ১৫৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরের স্কোর ১৫৩।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
এমএম//
আরও পড়ুন