ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেনজীর ও শহীদুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, তদন্তে পিবিআই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কথিত ক্রসফায়ারে বিএনপিকর্মী আবুল হোসেন বাবুকে হত্যার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি আদালত র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। 

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু তালেব নির্দেশনা দেন। 

নির্দেশনায় পিবিআইকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে আগামী ৮ নভেম্বর তারিখ বেঁধে দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।  

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর গোমস্তাপুর কগনাইজেন্স আদালতে নিহত আবুল হোসেন বাবুর স্ত্রী জুলেখা বেগম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।

মামলায় সাবেক আইজিপি ও র‍্যাবের সাবেক ডিজি ছাড়াও র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হককেও আসামি করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় র‍্যাবের দুই সোর্স একই গ্রামের মনিরুল ইসলাম টুলু ও মো. মোরশালিনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন বাদী।

মামলার এজহারে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার স্বামী আবুল হোসেন বাবুকে গত ৫ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রোহনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তুলে নিয়ে কথিত ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে। পরদিন রোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সেন্টু জানান, বিএনপির কর্মী হওয়ার কারণে ২০১৮ সালের ০৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে রহনপুর বাসস্ট্যান্ড মোড় থেকে আবুল হোসেন বাবুকে আটক করে র‍্যাব সদস্যরা। পরদিন সন্ধ্যায় গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে বুকে চারটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ ফেরত দেয়া হয় পরিবারের নিকট। হত্যার পরেও পুলিশ-র‍্যাবের পক্ষ থেকে মামলা না করতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়ার কারনে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে মামলা করতে পারেনি পরিবার।

তিনি আরও বলেন, মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে মামলাটি গ্রহণ করেছে। পরে তা তদন্তের জন্য রাজশাহী পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করি বাদীপক্ষ এর ন্যায়বিচার পাবে। মামলার নথিপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও পাঠানো হবে। কারণ পরবর্তীতে মামলাগুলো অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
মামলার বাদী জুলেখা বেগম বলেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে একটি চায়ের দোকান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় র‍্যাব সদস্যরা। এরপর ক্রসফায়ারে গুলি করে হত্যা করা হয়। মরদেহ দ্রুত দাফনের জন্যেও দেয়া হয় নানারকম চাপ ও ভয়ভীতি৷ এমনকি হত্যার পর মামলা নেয়া হয়নি থানায়। উল্টো র‍্যাব-পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হতো হুমকি ও ভয়ভীতি। তাই গত ছয় বছর হয়ে গেলেও এনিয়ে মামলা করতে পারিনি। পরিস্থিতি এখন অনুকুলে তাই মামলা করেছি।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি