বেনাপোলে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় খুন, আটক ৬
প্রকাশিত : ১০:১০, ২১ নভেম্বর ২০২৩
প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ আত্মসাত ও খুনের ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশ বেনাপোল পৌরসভার একজন কাউন্সিলরসহ ৬ জনকে আটক করেছে। গত ২ দিনে বেনাপোল ও ঢাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত একটি প্রাইভেট ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ।
ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকা থেকে শনিবার মাইক্রোবাস চালকসহ স্বর্ণ চোরাকারবারি অজ্ঞন, ডালিম কুমারকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল পৌরসভার বড় আঁচড়া ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন এবং তার দুই শ্যালক ইজাজ (২৮) ও ইফাজ (২৯)কে সোমবার বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী সাদীপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
গত ১৬ নভেম্বর যশোরের শার্শা থানার টেংরালী গ্রামের ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ মাগুরার আলমখালী থেকে উদ্ধার করার ৪ দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটক করে পুলিশ। এর আগে গত ১১ নভেম্বর ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় ওমর ফারুকের মা ফিরোজা বেগম অপহরণের ২ দিন পর বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানার টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রংয়ের পালসার মোটরবাইকে বিয়ের জন্য পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে বাসা হতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। পরদিন সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোনে ওমর ফারুকের অপহরণের বিষয়টি তাদেরকে জানায়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মুল্যের ৩ কেজি স্বর্ণের বার আত্মসাৎ করেন স্বর্ণবহনকারী ওমর ফারুক। এ ঘটনায় ওমর ফারুককে পোর্ট থানার পাশের একটি তৃতীয় তলা ভবনের কক্ষে আটকিয়ে রাতভর মারধর করেও স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে মাগুরায় নিয়ে খুন করে এবং এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেয়।
আটক ইজাজ হোসেন পুলিশের নিকট ওমর ফারুককে অপহরণ পর হত্যার বিস্তারিত তথ্য স্বীকার করেছেন। ধৃতরা বর্তমানে যশোর ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন