বেনাপোলে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন, দ্রুত অপসারণের দাবি

যশোরের বেনাপোল বাজারে একটি ৫ তলা ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ও ভবন হেলে গিয়ে ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অতিদ্রুত অপসারণের জন্য পৌরসভায় লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন ওই ভবনের আশপাশে বসবাসকারী ও স্থানীয়রা। 

জানা যায়, ১৯৯৬ সালে বেনাপোলের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল গণি ভবনটি নির্মাণ করেন। তিনি ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত ভবনটিতে তার স্ত্রী ও এক মাত্র সন্তান বসবাস করে আসছেন। কয়েকটি ফ্লোর ও নীচে মার্কেটও ভাড়া দিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেওয়ার পাশাপাশি মাথা হেলে আছে। দৃশ্যমান এসব চিত্র দেখেই বুঝা যায় ভবনটি যে কোন মুহূর্তে হেলে পড়তে পারে বা ধসে পড়তে পারে।

বিষয়টি ভবনের মালিক পক্ষ তেমনভাবে আমলে না নিলেও জীবনের ঝুঁকি থাকায় ভবনটি অপসারণ করতে পৌরসভার দারস্থ হয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, ভবনটি হেলে পড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়ে অনেকের প্রাণহানী ঘটতে পারে। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অতিদ্রুত এটা অপসারণ করা দরকার। তা না হলে অনেক জানমালের ক্ষতি হতে পারে।

মৃত আলহাজ্ব আব্দুল গণির একমাত্র পুত্র সন্তান আমিনুর রহমান ঝন্টু বলেন, অনেকে বলছে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমার কাছে সেটা মনে হচ্ছে না। পৌরসভা থেকে কোন নোটিশ এখনও পাইনি। তবে কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে আমার ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং আইনি নোটিশ দেয় তাহলে এটি অপসারণ করার জন্য চেষ্টা করবো। 

বেনাপোল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন, ওই ভবনের আশেপাশের লোকজন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে পৌরসভায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ভবনটি হেলে গিয়ে এবং বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে। ভবনে বসবাসকারী সকলকে ভবনটি খালি করার পাশাপাশি দ্রুত অপসারণ করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেছি।

তিনি আরও বলেন, ভবনটির বর্তমান অবস্থা খুবই শোচনীয়। এটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে ভবনের লোকজনসহ স্থানীয়দের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এ বিষয়ে ভবন মালিককে একটি চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হবে। তারা অপসারণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে।

এএইচ