বেরোবিতে সংকট নিরসনের দাবিতে ছাত্রফ্রন্ট্রের বিক্ষোভ
প্রকাশিত : ২৩:৪৭, ১ আগস্ট ২০১৯
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কর্মচারীদের লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসন এবং ক্যাম্পাসে উপাচার্যের সার্বক্ষনিক উপস্থিতির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
ছাত্রফন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক অনুপম রায়ের উপস্থাপনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে লাগাতার কর্মবিরতি চললেও তা সমাধানে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। ক্যাম্পাসে নানা সংকট থাকলেও উপাচার্যের ধারাবাহিক অনুপস্থিতিতে বিষয়টি আরও ঘোলাটে হচ্ছে। চলমান এ সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বাধ্য হবে।’
৩৮ দিন আন্দোলন চললেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি যা তাদের ব্যর্থতা এবং বিষয়টিতে প্রশাসন তালবাহানা করছে। এতে শিক্ষাবর্ষ জটের চরম আশঙ্কা দেখা দেবে বলে উল্লেখ করেন বাম সংগঠনের নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয় আরও অস্থিতিশীল হলে তার দায়দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণও করা হয় মানববন্ধন থেকে। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক রিনা, নাজমুল, রিশাদ, মাহবুব প্রমুখ।
অন্য দিকে কর্মচারীরা যৌক্তিক আন্দোলন করছেন বলে দাবি করেন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, ‘আমরা যে তিনটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি তার একটিও পূরণ করা হয়নি।’ তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান কর্মচারী ইউনিয়নের এ নেতা।
তবে ক্যাম্পাসের সংকটের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ছদরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘কর্মচারীদের সকল দাবি দাওয়া মেনে নেয়া হয়েছে। এরপরও কেন তারা প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে রেখেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
অন্যদিকে ক্যাম্পাসের সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এমএসি/এসি
আরও পড়ুন