বৈশ্বিক অস্থিরতায়ও বেড়েছে আইসিটি পণ্য-সেবা রপ্তানি
প্রকাশিত : ১১:১৪, ৫ জুন ২০২৩ | আপডেট: ১১:১৬, ৫ জুন ২০২৩
বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে আইসিটি পণ্য ও সেবা রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। প্রায় ২শ’ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ববাজার ধরার প্রস্তুতি জোরদারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বলছেন, ২০৩০ সালে আইসিটির বিশ্ববাজার ছাড়াবে হাজার বিলিয়ন ডলার। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল হবে শীর্ষ বাজার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন-জীবিকা। আর্থসামাজিক খাতে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। তথ্য কিংবা সেবা পেতে যে কেউ-ই দ্বারস্থ হচ্ছেন গুগল অ্যাপসের।
বিমানের টিকিট, স্বাস্থ্যসেবা, খাবার, গেম বা বিনোদন, তথ্য কিংবা শিক্ষাণীয় টিপস- কী চাই! মুহূর্তেই এবং নির্বিঘ্নে পাওয়া যায় অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে। সামনের দিনগুলোতে আইসিটিই দেবে নেতৃত্ব।
মাত্র ক’বছর আগেও যেখানে বিদেশি অ্যাপসগুলোর বিকল্প ছিল না, সেখানে দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে অ্যাপস। পাশাপাশি বাড়ছে আইসিটি পণ্যের রপ্তানিও। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর, এই ছয় মাসে আইসিটি রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। আর ২০২২ সালে রপ্তানি হয় প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার।
ড্রিম ৭১ ও ডিরেক্টর বেসিস সিইও রাশাদ কবির বলেন, “বীনা পার্সেস বা অ্যাডভার্টাইজমেন্টের মাধ্যমে হোক সেখান থেকে তারা রেভিনিউ আন করছেন। এক্সপোর্টদাতা হচ্ছেন ১.৪ বিলিয়ন।”
কিন্তু কীভাবে রাতারাতি বদলে গেলো বাংলাদেশের প্রযুক্তি, আর কীভাবেই-বা প্রযুক্তি বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম!
রাশাদ কবির বলেন, “পূর্ব তুমুর পার্লামেন্টের জন্য আমরা এক সফটওয়্যার তৈরি করেছি। যেখান থেকে মেম্বার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, তার ডকুমেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে পারবেন, ইন্টারন্যাল ট্রেনিং ম্যানেজেমন্ট- এরকম একটা সিস্টেম আমরা তৈরি করে দিয়েছি।”
বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তি সেবাখাতের বৈশ্বিক বাজার ২শ’ বিলিয়ন ডলার। ২০৩০ সালে তা ছাড়াবে হাজার বিলিয়ন ডলার। এসময়ে সবচেয়ে বড় বাজার হবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল। এ বাজার ধরতে হবে বাংলাদেশকে।
তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জুবায়ের কবির বলেন, “ওই হাজার বিলিয়ন ডলারের বড় বাজারটা আমাদের জন্যও। যদি আমরা রাইট সার্ভিস অথবা সেবার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি।”
প্রস্তুতি হিসেবে এখাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাগিদ ব্যাপকসংখ্যক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি তৈরির।
জুবায়ের কবির বলেন, “নলেজ অভাব নেই আমাদের। কিন্তু অ্যাপলাই করার জন্য যে জায়গায় ম্যানটেনাইজটা দরকার সেই জায়গাটাতে একটু কাজ করার দরকার আছে।”
প্রান্তিকের জনজীবনে দেশীয় অ্যাপস প্রভাব রাখতে সক্ষম হলে দ্রুতই বদলে যাবে সেবাখাতের চিত্র। সহায়ক হবে আইসিটি পণ্য ও সেবার রপ্তানিতেও। এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।
এই তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, “ইন্টারনেট মানে হচ্ছে ইজ লাইক হাইওয়ে।
এএইচ
আরও পড়ুন