ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

বোনাসের এক বিলিয়ন ডলার দান করবেন শাওমি প্রতিষ্ঠাতা

প্রকাশিত : ১৪:০৪, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

কোম্পানির শেয়ারবাজারে প্রবেশে সফল নেতৃত্ব দেওয়ায় এ বছর বড় অঙ্কের বোনাস পেয়েছেন চীনা স্মার্টফোন কম্পানি শাওমির প্রতিষ্ঠাতা সিইও লি জুন। এর পুরোটাই দান করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন তিনি।

গত সপ্তাহে শাওমি নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদনে জানায়, কোম্পানিতে অবদান স্বরূপ লি জুন ৬৩৬.৬ মিলিয়ন ডলারের বেশি শেয়ার বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন। প্রতিটি শেয়ারের বর্তমান মূল্য হিসেবে লির প্রাপ্ত শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ৭.৫৪ বিলিয়ন হংকং ডলার (প্রায় ৯৬১ মিলিয়ন ডলার)।

শাওমি আর্থিক বিবরণীতে জানায়, লি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কর কাটার পর বাকি সব শেয়ার দান করে দেবেন। তবে কম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি এ অর্থ ঠিক কোথায় যাবে। গত জুলাই মাসে হংকং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় শাওমি। কিন্তু চীনে স্মার্টফোনের চাহিদা কমবে—এমন উদ্বেগ থেকে কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়তে থাকে। এছাড়া চীনের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং, অ্যাপল, হুয়াওয়ে, অপো এবং ভিভোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় রয়েছে শাওমি।

ব্লুমবার্গ ও ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী লির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১১ বিলিয়ন ডলার। তিনি বশ্বের ১৪৩ তম বিলিয়নেয়ার এবং চীনের ১১ তম ধনী এবং প্রযুক্তি বিশ্বে ৩৬তম ধনী।

লি জুন চীনের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমির সহপ্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং সিইও। ২০১৮ সালের ৯ জুলাই হংকং শেয়ারবাজারে প্রবেশ করে শাওমি। তাঁর প্রথম সাফল্য তিনি ২০০৪ সালে ৭৫ মিলিয়ন ডলারে অনলাইন খুচরা কোম্পানি জয়ো ডটকম বিক্রি করেন অ্যামাজনের কাছে। ২০০৭ সালে তিনি অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানি কিংসফটের চেয়ারম্যান থাকাকালে কোম্পানিটিকে হংকং শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করেন। বর্তমানে কিংসফট ও ওয়াইওয়াই ডটকমের একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি রয়েছেন।

লি জুনের জন্ম ১৯৬৯ সালে চীনের হুবাই প্রদেশে। তিনি মিয়ানইয়াং মিডল স্কুল থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কিংসফটে যোগ দেন এবং ১৯৯৮ সালে কম্পানির সিইও হন। পরে ইউসিওয়েবসহ বেশ কিছু কম্পানি গড়ে তোলেন। ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল থেকে একটি প্রযুক্তি কোম্পানি হিসেবে শাওমি গড়ে তোলেন।

লি তাঁর সাফল্যের পেছনের গল্প জানাতে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে পড়াকালীন সময়ে তিনি লাইব্রেরিতে একটি বই খুঁজে পান, যেটির নাম ছিল ‘ফায়ার ইন দ্য ভ্যালি : দ্য মেকিং অব দ্য পারসোনাল কম্পিউটার’। তিনি বলেন,“এ বইটিই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বইয়ের এক জায়গায় লেখা ছিল, ‘যদি তোমার একটি স্বপ্ন থাকে তুমি তার পেছনে দৌড়াতে পারো, আশা করা যায় তুমি বিশ্বমানের একটি কম্পানি গড়ে তুলতে পারবে।’

(সূত্র: সিএনএন মানি, ফোর্বস ম্যাগাজিন, কোর্টজ, উইকিপিডিয়া)।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি