ব্যবসায়ীরা বিনাশুল্কে ব্যবসা করতে চান: মুহিত
প্রকাশিত : ২৩:৫১, ১১ মার্চ ২০১৮
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সরকারকে কোন ধরণের শুল্ক না দিয়েই ব্যবসা করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, “তারা (ব্যবসায়ীরা) প্রায় বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চান”।
আজ রবিবার সচিবালয়ে বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
তবে এমন সমস্যা পৃথিবীর সবদেশেই আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের সব দেশেই এ সমস্যা আছে। নিজের পকেট থেকে কোনো ব্যবসায়ী পয়সা দিতে চান না। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের লোভটা একটু বেশি। তাঁরা প্রায় বিনা মাশুলে ব্যবসা করতে চান।’
মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট কার্যকর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভ্যাট আইন তো আছেই। ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইনের পাশাপাশি ২০১১ সালে নতুন ভ্যাট আইনের খসড়া হলো। কিছু ক্ষেত্রে আমরা আগে যেটা ৩ থেকে ৪ শতাংশ ভ্যাট হার ছিল, সেগুলো ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ করে ফেলেছি”।
পাশাপাশি ভ্যাটের আলাদা আলাদা হার নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান এই বর্ষীয়ান অর্থনীতিবীদ। তিনি বলেন, “ভ্যাটের একই হার যে ভালো নয়, তা এখন বুঝতে পেরেছি। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যুক্তরাজ্যে ভ্যাটের হার আছে ৮ থেকে ১০টি। আমাদের এখন কোনোটি ১৫ শতাংশ হবে, কোনোটি হবে এর কম”।
অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সব সদস্যকে গ্রেড-১-এ উন্নীত করা, সব মহাপরিচালক ও গুরুত্বপূর্ণ কমিশনারদের গ্রেড-২-এ উন্নীত করা, কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ ক্যাডারের সদস্যদের থেকে একজনকে বোর্ড প্রশাসন পদে নিয়োগ দেওয়া, উপসচিবদের মতো এ ক্যাডার ও আয়কর ক্যাডারের পঞ্চম গ্রেড এবং তার ওপরের পদের কর্মকর্তাদের গাড়ি ঋণের ব্যবস্থা করা এবং বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশন এবং বিসিএস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
তাদের এসব দাবি পূরণের আশ্বাসও দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি খুব বিস্মিত হয়েছি যে বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত থাকছেন। এটা কী করে হয়? আমি তো সবাইকেই বড় সুযোগ করে দিয়েছি। তবে তাদের দাবিগুলো পূরণের বিষয়ে আমার সমর্থন আছে। দেখি কী করা যায়। ২০০৯ সালে একবার তাদের অনেক কিছু দিয়েছিলাম। আমার এখন চলে যাওয়ার সময় হয়েছে। দেখি, যাওয়ার আগে কিছু করে যাব”।
অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান দুই ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
//এস এইচ এস//টিকে
আরও পড়ুন