ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ব্যস্ত কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী (ভিডিও)

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৪০, ২৫ নভেম্বর ২০২০

শীত মৌসুমের জন্য গরম কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী। ৬শ’রও বেশি শীতবস্ত্র তৈরির কারখানার কর্মীদের এখন ব্যস্ততার শেষ নেই। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররাও আসতে শুরু করেছেন। কারোনাকালের ক্ষতি এবারের মৌসুমে পুষিয়ে নেয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লী। গরম কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত কারখানাগুলো। বাহারী ডিজাইন ও রঙের সোয়েটার, কার্টিগেন, জ্যাকেটসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র তৈরি হয় এখানকার কারখানাগুলোতে। 

প্রতিবছর শীত মৌসুম আসার ৫ থেকে ৬ মাস আগে থেকে শীতের পোষাক তৈরি শুরু হলেও এবার করোনার কারণে কাজটা দেরিতে শুরু হয়েছে। তাই শ্রমিকদের কাজের চাপটাও অনেক বেশি। 

শ্রমিকরা জানান, কাজের অনেক চাপ। সকাল ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন কাজ করতে হচ্ছে। করোনার কারণে দুই মাস কাজ ছিল না, তাই এখন বেড়েছে কাজের চাপ।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকারা বলছেন, বাহারি ডিজাইন, সেই সাথে পণ্যের গুণগত মান এবং দাম কম হওয়ায় এই গার্মেন্টস পল্লীতেই আসেন তারা। এবারের শীতে করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান ব্যবসায়ীরা।

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুসলিম ঢালী বলেন, মান, ফিনিসিং, ডিজাইন এবং কাপড়ের গুণগত মানের কারণে এখানের পোশাকের চাহিদা বেশি। আমরা আশা রাখি যে, বাংলাদেশের ভেতরে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ পোশাক এই কেরানীগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়।

সমিতির সভাপতি শেখ স্বাধীন বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এই শীত মওসুম দিয়ে করোনাকালীন ক্ষয়ক্ষতির কিছুটা হলেও আমরা পুষিয়ে নিতে পারবো।

দেশের শীত বস্ত্রে চাহিদার ৭৫ ভাগ মেটায় কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লী।

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি