ব্রিটেন-ভারতের বৈঠকের আলোচনায় বাংলাদেশ, যা জানা গেল
প্রকাশিত : ১০:৫৯, ৭ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাজ্য সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা।
বৈঠক শেষে জয়শঙ্করের এক্স হ্যান্ডলে দেয়া এক পোস্টের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ খবর জানিয়েছে।
গত বুধবার (৫ মার্চ) যুক্তরাজ্যের সেভেনকসের চেভেনিং হাউজে হওয়া ওই বৈঠকের বিষয়ে এক্সে জয়শঙ্কর লিখেন, ‘আমরা ইউক্রেন সংঘাত, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ এবং কমনওয়েলথসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘একটি অনিশ্চিত ও অস্থিতিশীল বিশ্বে ভারত ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।’
এস জয়শঙ্কর বৈঠকের ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সম্পূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশেষ করে কৌশলগত সমন্বয়, রাজনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য চুক্তি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, গতিশীলতা এবং দুই দেশের জনগণের বিনিময়ের ওপর আলোকপাত করেছি। যাতে করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া যায়।’
জয়শঙ্কর ৪ ও ৫ মার্চের কিছু সময় চেভেনিং হাউজে ছিলেন। এটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন।
দ্য হিন্দুর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি যুক্তরাজ্যের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল।
যদিও যুক্তরাজ্য ওই সময় জানায়, এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় দেওয়া কোনো আইনি বিধান তাদের নেই।
শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য।
তিনি সিটি মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার) দায়িত্বেও ছিলেন। তবে সমালোচনার মুখে গেল জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন টিউলিপ।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসে। এরপর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল।
যদিও বাংলাদেশ বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে কি কথা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি জয়শঙ্কর।
এসএস//
আরও পড়ুন