ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

ব্রিটেনে মিলছে সুখবর, কমছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৪, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দীর্ঘ লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধির ওপর গুরুত্ব দেয়ায় এবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে ইউরোপের দেশ ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি। ফলে সংক্রমণের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক প্রাণহানির সংখ্যা। যদিও আগের দিনের তুলনায় আজ কিছুটা বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। এখনো জারি আছে জরুরি অবস্থা, একই সাথে চলছে টিকা প্রয়োগও। 

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্যমতে, গত একদিনে ১২ হাজার ৩৬৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ৭২ হাজার ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ৫২ জনের। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৮৫০ জনে ঠেকেছে। 

অন্যদিকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ জন রোগী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ও বেঁচে ফিরেছেন ৩২ হাজার ৭৬৪ জন। 

এদিকে, আশঙ্কাজনকহারে ছড়িয়ে পড়ায় ভাইরাসটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। এমতাবস্থায় লন্ডনে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। স্থানীয় সময় গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ ঘোষণা দেন। এ সময়ে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান তিনি। 

এদিকে দেশটিতে ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেইন। টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তার সুফল তেমনটা মিলেনি বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ফলে পরিস্থিতি আরও সংকটের দিকে পৌঁছাচ্ছে, হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। 

করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে ঝুঁকি এড়াতে ১৮ জানুয়ারি (সোমবার) থেকে সব ধরনের ভ্রমণ পথ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর মধ্যে কেউ যদি দেশটিতে প্রবেশ করতে চায় তাহলে তাকে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।

ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের আলাদা এবং অজ্ঞাত এক ধরণ শনাক্ত হলে উদ্বেগ তৈরি হয় যুক্তরাজ্যে। এর ফলে দক্ষিণ আমেরিকা এবং পর্তুগালের সাথে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। বলা হয়েছে যে, এরপরও যারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করবে তাদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

এআই/এসএ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি